কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

এক বছরে নিহত সেনার সংখ্যা জানাল ইসরায়েল

গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের অভিযান। ছবি : সংগৃহীত
গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের অভিযান। ছবি : সংগৃহীত

এক বছরের বেশি সময় ধরে লেবানন ও গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এতে একের পর এক সেনা হতাহত হয়েছে বলে দাবি করেছে প্রতিপক্ষ গোষ্ঠীগুলো। এবার এক বছরে এসব জায়গায় নিহত সেনাদের সংখ্যা জানিয়েছে ইসরায়েল।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) আলজাজিরার লাইভে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, গত বছরের সাত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে ইসরায়েলের ৭৭২ জন সেনা নিহত হয়েছেন। গাজা লেবানন ও ইসরায়েলে তারা নিহত হন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। দেশটির এ হামলার জবাবে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে এ যুদ্ধ শুরু হয়। ক্রমেই তীব্র থেকে তীব্রতর রূপ নেয় যুদ্ধ। এরপর থেকে গাজার ওপর বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এমনকি তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদসহ ধর্মীয় স্থাপনাও।

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার ২০ লাখ বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। দেশটির হামলার কারণে ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, ইসরায়েলে হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন গাজার ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি আর ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা। এ ছাড়া ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক আদালতে গাজায় গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে দেশটি।

জাতিসংঘের হিসাবমতে, গাজায় ভবনধসে এ পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এ ধ্বংসস্তূপগুলো যদি একসঙ্গে এক জায়গায় রাখা যায়, তাহলে তা মিশরের ১১টি গ্রেট পিরামিডের সমান হবে। এ ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যয় হবে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি)।

ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব অনুসারে, গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির মোট ভবনের অর্ধেকের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়া এক-দশমাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক-তৃতীয়াংশ বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলার জন্য ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন পড়বে।

গাজাভিত্তিক জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘অবকাঠামোর যে পরিমাণ ক্ষতি করা হয়েছে, তা পাগলামির পর্যায়ে পড়ে... দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি ভবনও নেই যেখানে ইসরায়েল হামলা চালায়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃত অর্থেই এ অঞ্চলের ভৌগোলিক চিত্র পরিবর্তিত হয়ে গেছে। যেখানে আগে পাহাড় ছিল না, এখন সেখানে পাহাড় হয়ে গেছে। দুই হাজার পাউন্ডের বোমাগুলো আক্ষরিক অর্থেই এ অঞ্চলের মানচিত্র বদলে দিয়েছে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাবির শীত ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি পরিবর্তন

সৌদি আরবেই হচ্ছে ২০৩৪ বিশ্বকাপ

‘এই জাতি দেশকে ভালোবাসে বলেই গণহত্যা করতে দেয়নি’

চালককে হত্যা করে অটোরিকশার ব্যাটারি ছিনতাই

নারায়ণগঞ্জে নয়া দিগন্তের সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা 

মালয়েশিয়ায় বন্যায় লক্ষ্যাধিক লোক বাস্তুচ্যুত

হাসপাতালে আহত শিক্ষার্থীদের কিল-ঘুষি খেলেন আসাদুজ্জামান নূর

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে এইচআর সামিট অনুষ্ঠিত

কলকাতার সেই হাসপাতালে কখনো চিকিৎসাই নেয়নি বাংলাদেশিরা

সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার পথে আটক ৪৭

১০

‘দেশ সংস্কারে যতটুকু সময় দরকার ততটুকু দেওয়া হবে’

১১

রাষ্ট্র মেরামত ছাড়া বিদায় নিলে এই প্রজন্ম কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে : প্রেস সচিব

১২

কলকাতার ঘটনায় জামায়াতের কড়া প্রতিবাদ

১৩

কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে যাত্রী সংকট, স্থানীয়দের হুঁশিয়ারি

১৪

এক বোনের মৃত্যুর কথা শুনে অপর বোনের মৃত্যু

১৫

এবার সেই বাংলাদেশির থেকে আরও ১ লাখ কলা নেবেন জাস্টিন সান

১৬

সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে জিএমপি সনদ অর্জন করল রিমার্ক

১৭

বগুড়ায় যুবলীগ নেতা লাখিন গ্রেপ্তার

১৮

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের পথে হাঁটছে : ধর্ম উপদেষ্টা

১৯

ইঁদুরের গর্তে তাদের পিঠার স্বপ্ন

২০
X