কয়েক মাসের মধ্যে দুজন কাণ্ডারিকে হারিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। সবশেষ গোষ্ঠীটির নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হয়েছেন। তার মরদেহ ইসরায়েলে নিয়ে গিয়েছে দেশটির সেনারা। ধারণা করা হচ্ছে, তার মরদেহকে ঘিরে বড় দরকষাকষি করবে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতির মধ্যে যুদ্ধবিরতির নিয়ে নতুন বার্তা দিয়েছে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হামাসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা ইঙ্গিত দেন যে গাজার যোদ্ধারা ইসরায়েলের সাথে একটি চুক্তির জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। কেননা যুদ্ধের অবসান এবং জিম্মিদের মুক্ত করার লক্ষ্যে দোহায় পুনরায় আলোচনা শুরু হয়েছে।
হামাসের কাতার-ভিত্তিক রাজনৈতিক ব্যুরোর সিনিয়র সদস্য হুসাম বদরান বার্তা সংস্থা শেহাবকে এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি চুক্তি সম্ভব।
তিনি বলেন, আমাদের দাবিগুলো স্পষ্ট এবং জানা। এমতাবস্থায় একটি চুক্তিতে পৌঁছানো যেতে পারে। এজন্য নেতানিয়াহু ইতিমধ্যেই যে বিষয়ে সম্মত হয়েছে সে বিষয়ে তাকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।
বদরানের এ মন্তব্য চার ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে ফিলিস্তিনের মুক্তি ও দুদিনের যুদ্ধবিরতি নিয়ে মিসবের প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া কিনা তা স্পষ্ট নয়।
এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি গাজায় দুই দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করেছেন। এ সময়ে ইসরায়েলের চার জিম্মিকে হস্তান্তর করা হবে। বিনিময়ে বেশকিছু ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।
আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেল মাদজিদ তিবুনির সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, অস্থায়ী এ যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের ১০ দিনের মধ্যে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টায় পুনরায় আলোচনা শুরু করা উচিত।
মন্তব্য করুন