শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইসরায়েলি বাহিনীতে বিদ্রোহের উসকানি

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। ছবি : সংগৃহীত

উত্তর গাজায় ইসরায়েলের সেনারা সম্ভবত এমন কিছু করছে যা যুদ্ধাপরাধের আওতাভুক্ত হতে পারে। ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা ও সৈনিকদের উচিত যুদ্ধক্ষেত্রে অপরাধ বলে বিবেচিত হতে পারে এমন কোনো ঊর্ধ্বতন আদেশ মানতে অস্বীকার করা। এমনটাই মনে করছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সাবেক উপপ্রধান এরান ইতজিওন।

তিনি চারজন ইসারায়েলি প্রধানমন্ত্রীর অধীনে কাজ করেছেন। এমনকি নিজেও একজন সাবেক সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীতে কাজ করেছেন।

বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ইতজিওন জানান, যদি কোনো সেনা অথবা একজন কমকর্তা মনে করেন কোনো আদেশ পালনের কারণে এমন কোনো ঘটনা ঘটতে পারে যা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে তাহলে তাদের উচিত তা মানতে অস্বীকার করা। এ সময় তিনি দায়িত্বে থাকলেও আদেশ অমান্য করতেন বলে জানান সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা। যে কোনো ইসরায়েলি সেনারই উচিত এমনটা করা।

ইতজিওন মনে করেন, যে কোনো মূল্যবোধের বিপজ্জনক ক্ষয় আছে। এমনকি যে কোনো রাগের বিস্তৃতি প্রতিশোধ নেয়ার স্পৃহাও রয়েছে। যার কারণে তিনি ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের জনগণের জন্য বেশ চিন্তিত। তিনি মনে করেন গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলিরা একটি ট্রমার ভেতর আছে। ফলে ইসরায়েলের প্রতিশোধের নেশা অনুধাবন করা যায়।

সাবেক এ ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তা মনে করেন, এখানে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনী কোনো সন্ত্রাসী গ্রুপ বা সশস্ত্র সংগঠন নয়। তারা একটি সার্বভৌম দেশের বাহিনী। তাদের একটি ইতিহাস আছে, নীতি ও মূল্যবোধ আছে। ইসরায়েলি বাহিনীর উচিত আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে অভিযান পরিচালনা করা। কারণ ইসরায়েল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অংশ হিসেবে তার অস্তিত্ব বজায় রাখতে চায়।

ইতজিওনের সন্তানরা এখন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে কাজ করছে এমনকি তার বন্ধু ও পরিবারের সদস্যরা এখনও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে আছে। তিনি জানান, একজন উদ্বিগ্ন নাগরিক হিসেবে তিনি শুধু তার কথা বলতে চান। তিনি চান ইসরায়েলি সেনারা যাতে কোনো প্রকার যুদ্ধাপরাধে জড়িয়ে না পড়ে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ

উইন্ডিজের প্রতিরোধ ভেঙে বাংলাদেশের স্বস্তি

টাইম ম্যাগাজিনকে ড. ইউনূস / ট্রাম্প ব্যবসায়ী, আমরাও একজন ব্যবসায়িক অংশীদার চাই

২০২৪ সালের হাইয়েস্ট কালেকশন দরদের : শাকিব 

নায়িকা পরীমনির প্রথম স্বামী নিহত

রাজনীতিতে আ.লীগের পুনর্বাসন ঠেকাতে হবে: নুর

নির্বাচন যত দ্রুত হবে, সমস্যা তত কমে আসবে : মির্জা ফখরুল

খাসজমির দখল নিয়ে সংঘর্ষে দুজন নিহত

মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ক্রীড়াঙ্গন অন্যতম একটি মাধ্যম : আমিনুল হক 

তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তা নিয়ে সিয়ামের বাড়িতে মীর হেলাল

১০

আহত রানার পাশে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’

১১

ফেসবুকে দাবি ‘মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি’, যা বলছে ফ্যাক্ট চেক

১২

একদিকে প্রশান্তি, অশান্তিও বিরাজ করছে: শামা ওবায়েদ

১৩

চোর সন্দেহে খুঁটিতে বেঁধে যুবককে নির্যাতন

১৪

র‍্যানকন মটরসের সঙ্গে ক্র্যাক প্লাটুন চার্জিং সলুশনের চুক্তি

১৫

জনকল্যাণে কাজ করাই বিএনপির মূল লক্ষ্য : নয়ন

১৬

‘এক ফ্যাসিস্টকে হটিয়ে আরেক ফ্যাসিস্টকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না’

১৭

জুলাই বিপ্লবে আহত মুক্তিযোদ্ধার ছেলে বাবুকে নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড

১৮

মাদকাসক্ত ছেলেকে কারাগারে দিলেন মা

১৯

কপ২৯-এর এনসিকিউজি টেক্সট হতাশাজনক : পরিবেশ উপদেষ্টা

২০
X