গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের ফলে ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থা বি’টসেলেম জানিয়েছে, অবরুদ্ধ এই অঞ্চলে খাবার ও পানীর সংকটে বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। পরিস্থিতি এমনই, ক্ষুধা নিবারণের জন্য পর্যন্ত পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বি’টসেলেম এ উদ্বেগ প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজায় ‘জাতিগত নিধনের’ মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মনোযোগ ভিন্নদিকে সরাতে চাইছে উল্লেখ করে সংস্থাটি বলছে, এ আগ্রাসনের উদ্দেশ্য হলো গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা। ইসরায়েলি বাহিনী নিরবচ্ছিন্নভাবে বেসামরিক লোকজন, শরণার্থী শিবির ও হাসপাতালের ওপর হামলা চালাচ্ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত বি’টসেলেম দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কাজ করে আসছে। সংস্থাটি বলেছে, ‘এটা স্পষ্ট যে ইসরায়েল উত্তর গাজায় ভয়াবহ অপরাধ করছে। অবরোধের কারণে পুরো এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং সেখানে জীবন বাঁচানোর মৌলিক উপকরণ, যেমন—পানী পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। রাস্তা-ঘাটে সারিবদ্ধ লাশ আর বেঁচে থাকা মানুষদের ওপর আকাশ থেকে বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে।’
এদিকে বি’টসেলেম বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা বলছে, ‘মানবিক বিপর্যয়ের এ ক্রান্তিলগ্নে অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হবে।’ সংস্থাটি আরও উল্লেখ করেছে, ‘ইসরায়েলের চলমান অভিযান কেবল মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনই নয়, এটি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনেরও উদাহরণ।’
গাজায় চলমান এ সংকট বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এ যুদ্ধ দ্রুত বন্ধ না হলে গাজায় একটি স্থায়ী মানবিক বিপর্যয় ঘটবে, যা ভবিষ্যতে আরও বড় সমস্যার জন্ম দিতে পারে।
মন্তব্য করুন