কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজা যোদ্ধাদের প্রধানের ময়নাতদন্তের পর যা জানালেন চিকিৎসক

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় বিপর্যস্ত একটি জনপদ ও সিনওয়ারের ময়নাতদন্ত করা চিকিৎসক। ছবি : সংগৃহীত
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় বিপর্যস্ত একটি জনপদ ও সিনওয়ারের ময়নাতদন্ত করা চিকিৎসক। ছবি : সংগৃহীত

গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মরদেহের ময়নাতদন্ত করেছেন চেন কুগেল নামের এক চিকিৎসক। সিনওয়ারের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে এবং তার দেহে কী কী ক্ষত ছিল সে ব্যাপারে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি।

এই চিকিৎসকের দাবি, সিনওয়ারের মৃত্যু হয়েছে গুলির আঘাতে। যেটি তার মাথায় করা হয়েছিল। যা নতুন ও চমকপ্রদ তথ্য। এর আগে ইসরায়েল জানিয়েছিল, সিনওয়ারের মৃত্যু হয়েছে ট্যাংকের গোলার আঘাতে। অবশ্য সিনওয়ারের দেহে ট্যাংকের গোলার আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গেছে।

চিকিৎসক চেন কুগেল বলেন, তার মৃত্যুর কারণ- মাথায় গুলি লাগা। তার মাথায় একটি গুলি পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার মস্তিস্কে আঘাতজনিত ক্ষত ছিল। সিনওয়ারের দেহে অন্যান্য আঘাতও ছিল, যেমন ডান বাহুতে মিসাইলের আঘাত, বাম পা বা উরুতে ভবন ধসে পড়ার আঘাত, এবং তার দেহে প্রবেশ করা অসংখ্য শার্পনেল। যদিও সবগুলো শার্পনেল তার বুকে ছিল। এসব শার্পনেল তার দেহে ব্যাপক ক্ষতি করে। কিন্তু তার মৃত্যুর কারণ হলো মাথার গুলির আঘাত।

সিএনএন এই চিকিৎসককে প্রশ্ন করেছিল কোন সময় সিনওয়ারের মৃত্যু হয়েছিল বলে ধারণা করছেন। জবাবে তিনি বলেন, বুধবার বিকেলে হয়ত তিনি নিহত হয়ে থাকতে পারেন। এর ২৪ ঘণ্টা পর তার মরদেহ ইসরায়েলের তেলআবিবে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নিশ্চিত হওয়া যায় মরদেহটি ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছিল।

এদিকে সিনওয়ারের মাথায় গুলির আঘাত থাকার ব্যাপারে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল সিএনএন। জবাবে তারা বলেছে, সিনওয়ার যে বাড়িতে ছিলেন সেটিতে ট্যাংক থেকে গোলা ছোড়ার আগে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছিল।

ইসরায়েলের চরম আতঙ্ক ছিলেন হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। বলা হয়ে থাকে তার পরিকল্পনাতেই ইসরায়েলের নিরাপত্তাকে ধসিয়ে দিয়ে চালানো হয় ৭ অক্টোবরের সেই অপারেশন আকসা ফ্লাড।

গেল বুধবার গাজার রাফাহ অঞ্চলের তেল সুলতান এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে এক অসম যুদ্ধে বীরের মতোই লড়ে প্রাণ হারান সিনওয়ার। মৃত্যুর আগ মূহুর্তেও ইসরায়েলি ড্রোন লক্ষ্য করে যিনি এভাবে ছুড়েছিলেন হাতের লাঠি। বুঝিয়েছিলেন, হত্যা করেও থামানো যাবে না স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা।

সিনওয়ারকে হত্যার পর পরিচয় শনাক্তের জন্য পরের দিন বৃহস্পতিবার গোপনে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ইসরায়েলে। সেখানে দফায় দফায় চালানো হয় পরীক্ষা। জানা যায়- এটিই হামাস প্রধানের মরদেহ।

ইসরায়েলি দুটি সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছে, এখন সিনওয়ারের মরদেহকে কাজে লাগিয়ে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে নেতানিয়াহু প্রশাসন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নভেম্বরেও হচ্ছে না হামজার অভিষেক!

পল্লী বিদ্যুতের আরও দুই কর্মকর্তা রিমান্ডে

‘১৬ বছর ক্ষমতায় থেকেও দুপুরে খাওয়ার সময় পায়নি শেখ হাসিনা’

সাকিব ইস্যুতে কী বললেন টাইগারদের নতুন কোচ?

ডিমের মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মধ্যস্বত্বভোগীরা বড় সমস্যা : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা 

ঋণ পরিশোধ নিয়ে সুখবর দিলেন গভর্নর

প্রথম ঢাকা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কনভেনশন অনুষ্ঠিত

স্বাধীন সাংবাদিকতা ছাড়া গণতন্ত্র সুরক্ষা পাবে না : কাদের গনি

ইউএনও’র বাসভবনে বান্ডিল বান্ডিল পোড়া টাকার ভিডিও ভাইরাল

ফুরফুরে মেজাজে মিম 

১০

‘সত্য প্রকাশে সাহসী সংবাদমাধ্যম কালবেলা’

১১

দেশের প্রতিটি কারাগার ছিল শেখ হাসিনার আয়নাঘর : রিজভী 

১২

চব্বিশের বিপ্লবের পরও ষড়যন্ত্র হচ্ছে : শিবির সভাপতি

১৩

এমবাপ্পেকে দলে ভিড়িয়ে আফসোস করছে মাদ্রিদ

১৪

আমরা জাতিকে বিভক্ত করতে দেব না : জামায়াতের আমির

১৫

স্বতন্ত্র পরিদপ্তরসহ মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসি শিক্ষার্থীদের ৬ দাবি

১৬

সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, যেখানে আছড়ে পড়তে পারে ‘ডানা’

১৭

ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায় ৯ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি আটাবের

১৮

টাইগারদের নিয়ে লক্ষ্যের কথা জানালেন নতুন কোচ সিমন্স

১৯

সিলেট মহানগরে এবি পার্টির কমিটি ঘোষণা / ‘সরকার সমালোচনা সহ্য করছেন, কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেন না’

২০
X