কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪৯ পিএম
আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নিহত সেই মোস্ট ওয়ান্টেড পার্সনের খোঁজ মেলে যেভাবে

ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ছবি : সংগৃহীত
ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ছবি : সংগৃহীত

ইয়াহিয়া সিনওয়ার, একজন নেতা, একজন বীরযোদ্ধা, যিনি ছিলেন অবৈধ দখলদারদের জন্য একটি মূর্তিমান আতঙ্ক। অসংখ্যবার যাকে হত্যার চেষ্টা করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ২০১৭ সাল থেকেই তাকে বলা হচ্ছিল ইসরায়েলের মোস্ট ওয়ান্টেড পার্সন।

গত বছরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই বলা হচ্ছিল কোনো এক সুরক্ষিত সুরঙ্গে লুকিয়ে রয়েছেন সিনওয়ার। আর তার পাহারায় নিয়োজিত দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারী গার্ড। শুধু তাই নয়, ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর জিম্মি করা ইসরায়েলিদের চারপাশে রাখা হয়েছে। সেইসব তথ্য মিথ্যা প্রমাণ করে সম্মুখ যুদ্ধে লড়াই করে নিহত হয়েছেন এই স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা। যুদ্ধ শুরুর এক বছর পর ঠিক কীভাবে তাকে খুঁজে পেল ইসরায়েল এটিই এখন বড় প্রশ্ন।

গেল এক বছর ধরে ইসরায়েলের হাজার হাজার সৈন্য সিনওয়ারের হদিস বের করতে ড্রোন, বৈদ্যুতিক আড়ি পাতার যন্ত্র এবং গোপন তথ্যদাতাদের নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে গেছে। তবে এবার আইডিএফ জানিয়েছে, তাদের ৮২৮তম বিসলামাক ব্রিগেডের একটি দল বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাফার তাল আল-সুলতান এলাকায় টহল দিচ্ছিল। সেখানে একটি ভবনে তিনজন সশস্ত্র ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয় এবং তারা ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হন। তখনও সেনারা জানতেন না তারা কত বড় সাফল্য অর্জন করেছেন।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেনারা সেই ভবনে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা অবাক হন। কারণ, তিনজনের একজন অবিকল সিনওয়ারের মতো দেখতে। শেষমেশ ডিএনএ ও দাঁত পরীক্ষায় সেনাদের ধারণা সত্য প্রমাণিত হয়।

ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে নিহত হওয়ার সময় সিনওয়ারের সঙ্গে কোনো ইসরায়েলি বন্দি ছিল না, যাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠে আসছিল সিনওয়ারের বিরুদ্ধে। এমনকি গাজার এই যোদ্ধা কোনো টানেলে লুকিয়েও ছিলেন না। বরং তার সশস্ত্র সহযোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মোকাবেলা করতে করতে নিহত হয়েছেন।

আইডিএফ-এর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানান, তারা জানতেন না সিনওয়ার সেখানে ছিলেন। তবে তারা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা তিনজনকে এক ঘর থেকে আরেক ঘরে পালাতে দেখে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। সিনওয়ার একা একটি বাড়িতে ঢুকে পড়েন এবং ড্রোনের মাধ্যমে তাকে শনাক্ত করে হত্যা করা হয়।

সিনওয়ারকে হত্যার পরও গাজা যুদ্ধ সমাপ্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন ইহুদিবাদী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। জানান, সিনওয়ারকে হত্যা করা ইসরায়েলের জন্য একটি প্রধান লক্ষ্য ছিল। গত বছরের ৭ অক্টোবরের হামলার পরপরই তাকে হত্যার জন্য অভিযান চালাচ্ছিল ইসরায়েলি বাহিনী। কিন্তু তার শেষ মানেই গাজা যুদ্ধ শেষ নয়। হামাসের হাত থেকে ১০১ জন জিম্মিকে বাঁচাতে এই যুদ্ধ চলবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘আ.লীগ আমলের চোর-বাটপারদের শাস্তি দিলে দ্রব্যমূল্য বাড়ত না’

রাষ্ট্র সংস্কারের নীতিমালা : বাংলাদেশে করণীয় ও বর্জনীয়

শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের দাবি ফারুকের

সিজেএফবি’র সভাপতি এনাম সরকার, সম্পাদক রানা 

ইডির প্রশ্নের মুখে তামান্না ভাটিয়া 

লেবানন থেকে ছোড়া রকেট ঠেকাতে ব্যর্থ ইসরায়েল

নিয়োগ দিচ্ছে সীমান্ত ব্যাংক

নোমান-সাজিদের ঘূর্ণিতে ১১ ম্যাচ পর জয় পাকিস্তানের

লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা

আমার দেশ পত্রিকা কবে বাজারে আসছে, জানালেন মাহমুদুর রহমান

১০

পারকি সৈকতে বেপরোয়া বাইকাররা / দুর্ঘটনা আর ভোগান্তিতে বিরক্ত পর্যটকরা

১১

ইয়ামালের জন্য ৩২৩৬ কোটি টাকার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান বার্সার

১২

এক ঘণ্টার জন্য উপপরিচালক হলেন ঝালকাঠির ফাতিমা

১৩

১৭ বছর পর লক্ষ্মীপুরে খোলা ময়দানে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন

১৪

নিহত সেই মোস্ট ওয়ান্টেড পার্সনের খোঁজ মেলে যেভাবে

১৫

‘আ.লীগের গড়া সিন্ডিকেট এখনো ভাঙতে পারেনি এই সরকার’

১৬

ফিলিস্তিনিদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল

১৭

শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে বিগ ব্রাদারসুলভ আচরণ করছে ভারত : রিজভী

১৮

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র / আন্দোলনে শিক্ষার্থী নাদিম হত্যা মামলায় তাঁতী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার

১৯

মতিয়া চৌধুরীকে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের স্ট্যাটাস

২০
X