কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪৫ পিএম
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

লেবাননের যোদ্ধাদের ‘বিপজ্জনক’ নৌশক্তিতে আতঙ্কিত ইসরায়েল

ইসরায়েলি নৌবাহিনীর মহড়া। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলি নৌবাহিনীর মহড়া। ছবি : সংগৃহীত

লেবাননে স্থল অভিযানের পর থেকে ব্যাপক হোচটের মুখোমুখি পড়েঠে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে তারা নিজেদের সৈন্যও হারিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে হিজবুল্লাহর নৌশক্তি নিয়ে নতুন আশঙ্কার খবর দিয়েছেন ইসরায়েলের নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হিজবুল্লাহর নৌশক্তি এখনও কার্যকর রয়েছে। তাদের হাতে ইসরায়েলে হামলা চালানো সম্ভব নেভাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক দশক ধরে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হিজবুল্লাহর নৌ সক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করছে। সেখানে দেখা গেছে, হিজবুল্লাহর নৌ সেনাদের কাছে রাশিয়ার তৈরি পারসনিক ইয়াখন্ট ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।

রাশিয়ার তৈরি এ ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘পশ্চিমি নৌবহরের দুঃস্বপ্ন’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ইসরায়েলের দাবি, সিরিয়া রাশিয়ার কাছ থেকে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছিল। পরে তা হিজবুল্লাহর হাতে গিয়েছে।

ইসরায়েলের দাবি, ইরানের সমর্থনে হিজবুল্লাহ একটি গেপান নৌ ইউনিট তৈরি করেছে। তবে আইডিএফ তাদের সক্ষমতার কিছু অংশ ধ্বংস করেছে। এরপরও তাদের অত্যাধুনিক সক্ষমতা রয়ে গেছে। তাদের কাছে উপকূলে অভিযান ও জাহাজে হামলা চালানোর মতো অস্ত্র রয়েছে। এছাড়া হিজবুল্লাহর উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র ও রাডার রয়েছে।

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের দাবি, আইডিএফ লেবাননের জনসীমার কাছে সতর্ক রয়েছে। ফলে সেখানে তাদের চমকে দেওয়ার সম্ভাবনা কম।

এর আগে ২০০৬ সালে ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধের সময় তারা নৌবাহিনীর জাহাজ আইএনএস হানিতে সি-৮০২ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছিল। এরপর থেকে তারা নৌশক্তির আধুনিকায়ন করেছে।

আইডিএফের ধারণা, ইরান এ যুদ্ধের আগে পরে হিজবুল্লাহকে বিভিন্ন প্রকারের ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করে আসছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানান, হুতিদের ব্যবহৃত নৌ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেখে পশ্চিমা অনেক গোয়েন্দা সংস্থা অবাক হয়েছে। এটির নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানার ইলেকট্রো-অপটিক্যাল ক্ষমতা রয়েছে। যা ব্যাপক উচ্চতা থেকে তীক্ষ্ণ কোনে জাহাজের ওপর নেমে আসে। ফলে নেভায় আয়রন ডোম দিয়ে এর মোকাবিলা করা নতুন চ্যালেঞ্জ।

তিনি বলেন, আমরা জানতাম চীনের কাছে এমন ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। তবে ইরানিরাও তাদের ক্ষেপণাস্ত্রকে উন্নত করেছে। পরে তা হুতিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এক বছর আগে বেশ কয়েকটি জহাজে এ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হলে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট্র হয়েছিল। পরে তা উন্নত করা হয়েছে। এটি যত তীক্ষ্ণ কোনে নেমে আসে তত আটকানো কঠিন হয়ে যায়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনার ফাঁসি ও আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্র সমাজের বিক্ষোভ

অফিস করছেন পিএসসির নতুন চেয়ারম্যান, জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা

সেন্টমার্টিনে রাতযাপন নিষিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন

লালমনিরহাটে কালবেলার দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

হজ প্যাকেজ ৪ লাখ টাকা ও রমজানে কালোবাজারি বন্ধের দাবি

আগামী বছরের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ

দ্রব্যমূল্যের বাজারসহ সবখানেই ফ্যাসিবাদের প্রভাব বিদ্যমান : এবি পার্টি

যানজট থেকে বাঁচতে নিজেই বানিয়ে ফেললেন গাড়ি

লক্ষ্মীপুরে শেখ হাসিনাসহ ৩৫ জনের নামে মামলা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কাকে ভোট দেবেন ইহুদিরা?

১০

ফরিদপুরে কালবেলার বর্ষপূর্তি উদযাপন

১১

তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার না হলে আন্দোলন : নাজমুল হাসান

১২

নাটোরে কালবেলার বর্ষপূর্তি উদযাপন

১৩

কমতে শুরু করেছে সবজির দাম

১৪

আগামী বছর সরকারি ছুটি নিয়ে বড় সুখবর

১৫

শমসের মবিন চৌধুরী আটক

১৬

বন্ধুর পাওনা টাকা আজ ফেরত দিন

১৭

ভোজ্যতেল নিয়ে এনবিআরের সুখবর

১৮

নতুন বাংলাদেশে সাহসী সাংবাদিকতার পথ দেখিয়ে যাচ্ছে কালবেলা

১৯

আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বাংলার মাটিতে বিচার হবে : রিজভী

২০
X