একদিন আগেই ইসরায়েলের সেনাঘাঁটিতে বড় ধরনের হামলা চালায় ইরানসমর্থিত লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী। পরদিনই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছে, লেবাননের কোনায় কোনায় হিজবুল্লাহর ওপর নির্দয় হামলা চালানো হবে এবং এর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
সোমবার (১৫ অক্টোবর) হাইফার দক্ষিণে বেনিয়ামিনা এলাকার কাছে হামলায় আক্রান্ত হওয়া ইসরায়েলি সেনাঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে এ মন্তব্য করেন নেতানিয়াহু। খবর এএফপির।
সেনাঘাঁটি পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, আমরা বৈরুতসহ লেবাননের সব জায়গায় হিজবুল্লাহর ওপর হামলা চালিয়ে যাব। এ হামলা চলবে নির্দয়ভাবে।
রোববার ইসরায়েলি সেনাঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালায় হিজবুল্লাহ। এতে চার ইসরায়েলি সেনা নিহত হন। স্বেচ্ছাসেবী উদ্ধারকর্মীরা বলেছেন, আহত হয়েছেন ৬০ জন।
অপরদিকে ইরান সমর্থিত লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী বলেছে, ইসরায়েলি হামলার জবাব দিতে তারা ‘ড্রোন হামলার স্কোয়াড্রন’ করেছে। গত সপ্তাহে বৈরুতের কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলায় ২২ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছিল দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ হামলার জবাব দেওয়ার কথাও জানিয়েছে হিজবুল্লাহ।
এদিকে গত মাস থেকে লেবাননে বোমা হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। এ মাসের শুরুতে সেখানে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে দেশটিতে কমপক্ষে ১ হাজার ৩১৫ জন নিহত হয়েছেন। যুদ্ধে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
ইসরায়েলের সেনাঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর হামলার পর সোমবার (১৪ অক্টোবর) লেবাননে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সংখ্যাগরিষ্ঠ খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকায় চালানো ওই হামলায় কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছেন বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা গত সপ্তাহে বলেছে, ইসরায়েল-লেবানন যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৬ লাখ ৯০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছে। ইসরায়েলের হামলা এবং লেবাননের প্রতিরোধ কার্যক্রম মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে গুরুতর সংঘাতের মধ্যে পরিণত হয়েছে, যা আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
মন্তব্য করুন