লেবাননের রাজধানী বৈরুত থেকে ইরানের এক কামান্ডারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) আইআরজিসির জনসংযোগ বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।
নিহত কমান্ডার ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্বাস নীলফরৌশন। লেবাননে ইসরায়েলকে মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা করছিলেন তিনি।
তেহরান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বৈরুতে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি হিজবুল্লাহর সদর দপ্তরে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে গোষ্ঠটির প্রধান হাসান নাসরুল্লাহসহ আরও কয়েকজন নেতা নিহত হন। একই হামলায় নীলফরৌশনও নিহত হয়েছিলেন। কিন্তু ইরান তা গোপন রাখে। অবশেষে তার মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় বিষয়টি স্বীকার করল তেহরান।
সম্প্রতি ইসরায়েল লেবাননে হামলা শুরু করে। বিমান হামলায় নিহত হন ইরানের ঘনিষ্ঠ সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। এতে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কার মধ্যে ইসরায়েলে ১৮০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে তেহরান। এরপর সমীকরণ এক প্রকার ঝুলে আছে।
ইরান বলছে, তারা আর হামলা করতে চায় না। কিন্তু তেলআবিব জবাব দিলে তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রয়েছে। সে সঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমর্থন বাড়ানোর চেষ্টা করছেন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। অপরদিকে সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়াতে পশ্চিমা মিত্রদের থেকে চাপ বাড়ছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর। এমন সময় ইরানি কমান্ডার নিহতের খবর প্রকাশ্যে এলো।
এদিকে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মানবতা আজ কোথায়? ইসরায়েল বেসামরিক নাগরিকদের মেরে ফেলছে। এখনই যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লেবাননের প্রধানমন্ত্রী মিকাতি ইসরায়েলের সঙ্গে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব উত্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ইসরায়েলকে বেসামরিক নাগরিক ও আবাসিক এলাকায় আক্রমণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, গতকালের (বৃহস্পতিবার) হামলায় ১৩৯ জন নিহত হয়েছেন। তারা সবাই বেসামরিক নাগরিক। এটা আর গ্রহণযোগ্য নয়। কোথায় মানবতা? আমরা কোন বাস্তবতায় বাস করছি?
মন্তব্য করুন