মধ্যপ্রাচ্যে চলছে তুমুল উত্তেজনা। সম্প্রতি ইরান খোদ ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে প্রায় ২০০ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এতে দেশ দুটি এবার সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইরানের হামলার পর ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠেছে বিশ্বব্যপী।
ইরানের এই হামলায় ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতিরও খবর পাওয়া যায়। তবে বরাবরের মতোই ইসরায়েল এ বিষয়ে মুখ খোলেনি। এমনকি ক্ষয়-ক্ষতির কথা প্রকাশ না করার জন্য নির্দেশ দেয় নেতানিয়াহু সরকার।
তবে সম্প্রতি এ নিয়েই ঘটে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। জানা যায়, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় নেভাটিম বিমানঘাঁটির ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন জেরেমি লোফ্রেডো নামে ২৮ বছর বয়সি একজন মার্কিন সাংবাদিক। এতে করে ইসরায়েলের গোমর ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে সেই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে ইসরায়েলি পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ খবর নিশ্চিত করেছে আল জাজিরা।
গেল ১ অক্টোবর, ইসরাইলের ভেতরে ইরানের ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর খবর পাওয়া যায়। তেহরানের এই হামলার অন্যতম লক্ষ্য ছিল ইসরাইলি বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি। ইসরায়েলের এমনই একটি ঘাঁটি হলো নেভাটিম বিমানঘাঁটি।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর দাবি, ইরানের হামলায় এই বিমানঘাঁটির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে সেটা খুব ভয়াবহ নয়। বিমানঘাঁটি অচলও হয়নি। তবে ইরানের বার্তা সংস্থা মেহের নিউজ জানায়, নেভাটিম বিমানঘাঁটিতে ইরানের ১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এতে বিমানঘাঁটিটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি তা অকার্যকর হয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সংবাদ মাধ্যম ওয়াই-নেট জানিয়েছে, লোফ্রেডোর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ‘যুদ্ধকালীন সময়ে শত্রুকে সহায়তা করা’ এবং ‘শত্রুকে তথ্য সরবরাহ করা’। জানা যায়, লোফ্রেডো, মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য গ্রেজোনে স্বাধীন সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত আছেন। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ যে পাঁচ সাংবাদিককে আটক করেছে তাদের মধ্যে তিনি একজন।
আন্দ্রে এক্স নামে একজন রাশিয়ান সাংবাদিক বুধবার এ নিয়ে এক্সে একটি পোস্টও করেছেন। সেখানে তিনি জানান, সেদিন তাকে মারধর করা হয়, অপহরণ করা হয়, চোখ বেঁধে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটিতে নিয়ে যায়। সেখানে আরও ৪ সাংবাদিকও ছিলেন। তিনি আরও জানান, অভিযোগ ছাড়াই ১১ ঘণ্টা আটকে রাখা হয় তাদের।
মন্তব্য করুন