ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ছাই থেকে ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠবে। সংগঠনটি আবারও অস্ত্র ও সৈনিক সংগ্রহ শুরু করেছে। সংগঠনটির স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকা নেতা খালেদ মেশাল রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর আকস্মিক ইসরায়েলে হামলা করে তাণ্ডব চালায়। নজিরবিহীন এ হামলায় গোষ্ঠীটির যোদ্ধারা প্রায় ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা এবং আড়াই শতাধিক ব্যক্তিকে জিম্মি করে। সেসব জিম্মিকে আন্তর্জাতিক আহ্বান সত্ত্বেও মুক্তি না দেয়নি। এদিকে এর জেরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামাসবিরোধী অভিযানে ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। ওই সময় থেকে একের পর এক ফাঁকা বুলি আওরালেও ইসরায়েলি বাহিনীর গতিরোধ করে বেসামরিক নাগরিকদের বাঁচাতে পারেনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। তা সত্ত্বেও সংগঠনটি কখনো বিবৃতি বা নেতারা ব্যক্তিগতভাবে হুংকার দিয়ে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে খালেদ মেশাল বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের চলমান যুদ্ধ ৭৬ বছর আগে শুরু হওয়া সংঘাতের বৃহত্তর অংশ। ইতিহাস চক্রাকার। আমরা এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাই, যেখানে অনেকে শহীদ হন। সামরিক সক্ষমতার কিছুটা হারাই। কিন্তু তারপর ফিনিক্সের মতো ফিলিস্তিনি চেতনা আবার জেগে ওঠে। এ জন্য আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা।
রয়টার্সের প্রশ্নে এ নেতা হামাসের গতানুগতিক বুলি ছুড়েন। তিনি বলেন, হামাস এখনো ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে অতর্কিত হামলা চালাতে সক্ষম। যোদ্ধারা গোলাবারুদ ও অস্ত্রশস্ত্রের কিছু অংশ হারিয়েছে। কিন্তু হামাস এখনো তরুণদের নিয়োগ দিচ্ছে। তারা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক গোলাবারুদ ও অস্ত্র তৈরি অব্যাহত রেখেছে।
কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে কীভাবে তারা আবার প্রতিরোধের প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে; তার স্পষ্ট বিবরণ দিতে ব্যর্থ হন খালেদ।
প্রসঙ্গত, নির্বিচার বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালিয়ে গাজা উপত্যকাকে যেন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। এ পর্যন্ত ৪১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে তারা। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। অভিযান চালিয়ে হামাসের হাজারো যোদ্ধাকে হত্যার দাবি করেছে তারা। পাশাপাশি তাদের সুড়ঙ্গের বিশাল নেটওয়ার্ক ধ্বংস করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলায় লাভবান আসলে কারা এবং এক বছর পর বাস্তবে হামাসকে কতটা নির্মূল করা গেল?
মন্তব্য করুন