লেবাননে স্থল অভিযান চালিয়ে ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। একদিকে যখন ইসরায়েলি সেনারা অভিযানের জন্য লেবাননে ঢুকছে তখনই অন্যদিকে ফাঁদ পেতে ইসরায়েলি সেনাদের দলগুলোকে আক্রমণের মুখে ফেলছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা। একই সঙ্গে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্রমাগত রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও চালিয়ে যাচ্ছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলি বাহিনী প্রযুক্তি ও মার্কিন অস্ত্রের বলে শক্তিশালী অবস্থানে থাকলেও স্থল অভিযানে লেবাননের মাটিতে তারা বিপাকে পড়বে। বলা হচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা ট্যাংক অথবা বিমান থেকেই ভালো যুদ্ধ পরিচালনা করতে পারে। স্থল অভিযানে তাদের কোনো রকম আশ্রয় ছাড়া জীবন বাঁচানোর জন্যই দৌড়াতে হবে। এরআগে ২০০৬ সালে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে একপ্রকার পিছু হটতে বাধ্য হয় ইসরায়েলি সেনারা।
স্থল অভিযান শুরুর পর দক্ষিণ লেবাননের ওদাইশেহ শহরে ঢোকার মুখে হিজবুল্লাহর প্রবল প্রতিরোধে পিছু হটতে বাধ্য হয় ইসরায়েলি সেনারা। এ ছাড়াও সীমান্তের অন্যান্য স্থানে গেরিলা কায়দায় ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর দফায় দফায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে লেবাননের যোদ্ধারা। এতে আহত সেনাদের নিয়ে পিছু হটতে বাধ্য হয় নেতানিয়াহু বাহিনী।
এদিকে, হিজবুল্লাহর সঙ্গে প্রবল সংঘাতের মধ্যেই লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত তীব্র বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। লেবাননের ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়, ‘ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলিগুলোতে ৪টি খুবই ভয়ংকর হামলা চালানো হয়েছে এবং একটি হামলা হয়েছে চুয়েফাত এলাকায়।
স্যাটেলাইটের ছবিতে বার্জ আল-বারাজনেহ, হারেত হারিক ও চুয়েফাত আল-আমরুসিয়ায় সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হওয়ার ছবি ফুটে উঠেছে। শনিবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে স্থলাভিযানে তারা ৪৪০ হিজবুল্লাহ যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। ধ্বংস করেছে হিজবুল্লাহর নিয়ন্ত্রণে প্রায় দুই হাজার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যস্থল।
মন্তব্য করুন