ইসরায়েলের আকাশে দুটি বেনামি ড্রোন শনাক্ত হয়েছে। লেবাননের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে তেল আবিবের আকাশে ড্রোন দুটি শনাক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তেলআবিবের আকাশে দুটি বেনামি ড্রোন শনাক্ত করা হয়েছে। এর ফলে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় অ্যালার্ম বেজে উঠেছে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শনাক্ত হওয়া ড্রোনগুলোর মধ্যে একটি তেলআবিব মেট্রোপলিটন এলাকায় উপকূলের অদূরে ভূপাতিত করা হয়েছে। এ ছাড়া অপরটি খোলা মাঠে বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ড্রোনগুলো আসলে কোন জায়গা থেকে পাঠানো হয়েছে বা সম্ভাব্য কোনো লক্ষ্যবস্তু ছিল কি না তা জানায়নি সেনাবাহিনী।
এদিকে ইসরায়েলের বিমানঘাঁটিতে হামলার স্যাটেলাইট ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বিমানঘাঁটিতে ক্ষয়ক্ষতির চিত্রও উঠে এসেছে। প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, বিমানঘাঁটিটির রানওয়ের পাশে থাকা একটি হ্যাঙ্গার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নেভাতিম বিমানঘাঁটিকে ইসরায়েলের সবচেয়ে আধুনিক বিমানগুলোর ঘাঁটি বলা হয়। এখানে যুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত এফ-৩৫ লাইটনিং টু স্টেলথ ফাইটারগুলো থাকে। তবে ইরানের হামলায় কোনো বিমান ধ্বংস হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয় প্রকাশিত চিত্রে, যদিও তেহরান বলছে তাদের হামলায় ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি বিমান ধ্বংস হয়েছে।
এর আগে গেল এপ্রিলে ইরানের হামলায় নেভাতিমের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে সেবার জরুরি অবকাঠামো রক্ষা পেয়েছিল।
এদিকে এবারের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থানের ছবি বা ভিডিও প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। আইডিএফ মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে জানান, যেসব নাগরিক ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলাস্থলের অবস্থান প্রকাশ করছে বা যেসব এলাকা ধ্বংস হয়েছে তার ছবি ও ভিডিও ধারণ করে প্রচার করছে তারা শত্রুকে সাহায্য করছে। ইসরায়েলকে রক্ষার দায়িত্ব তার নাগরিকদের হাতে। ইসরায়েল কোনো ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করবে না।
মন্তব্য করুন