রাতভর ইসরায়েলে ব্যাপক আকারে হামলা চালিয়েছে ইরান। প্রায় শ’খানেক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তারা। এতে ইসরায়েলে বিমানঘাটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানিয়েছে ইসরায়েল।
বুধবার (০২ অক্টোবর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, গত রাতে (০১ অক্টোবর) ইরানের বিমান হামলায় বিমান, ড্রোন বা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে ইসরায়েলি মিডিয়া জানিয়েছে, বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইরান।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে তথ্যমতে, আইডিএফ জানিয়েছে, শার্পনেলের আঘাতে দুজন বেসামরিক লোক আহত হয়েছেন। তবে হামলার ফলে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এর আগে মঙ্গলবার ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চালায় মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী দেশ ইরান। হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ও ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডারদের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালায় দেশটি।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, হামলায় ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একসঙ্গে একশরও বেশি মিসাইল ছুড়েছে ইরান। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, জর্ডানের রাজধানী আম্মানের আকাশ দিয়ে মিসাইল উড়ে যেতে দেখা গেছে। মিসাইলের কারণে জর্ডানেও সাইরেন বেজে ওঠেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ এক বার্তায় নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে স্থানীয় সেনা কমান্ডের নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলেছে।
ইসরায়েলি নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বার্তায় আরও বলা হয়েছে, ‘সাইরেন শুনলে অবশ্যই একটি সুরক্ষিত এলাকায় যেতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে। যেসব বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে; সেগুলো হয় মিসাইল আটকানোর কারণে হচ্ছে অথবা আঘাত হানার কারণে হচ্ছে।
ইসরায়েলি বাহিনী লেবাননে সীমিত পরিসরে স্থল অভিযান শুরু করার পর তেল আবিব লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান। প্রায় এক বছর আগে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালায় ইসরায়েল। তাদের নির্বিচার বোমা হামলায় গাজায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ওই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মঙ্গলবার লেবাননে ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরুর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত নতুন মাত্রা পৌঁছেছে।
মন্তব্য করুন