মধ্যপ্রাচ্যে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনী। লেবাননে বিমান হামলার পর মঙ্গলবার থেকে স্থল অভিযান শুরু করেছে দেশটি। কেবল লেবানন নয়, মধ্যপ্রাচ্যে গাজাসহ ইয়েমেনেও হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। জবাবে পাল্টা হামলা চালিয়েছে এসব দেশও।
বুধবার (০২ অক্টোবর) ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের অভ্যন্তরে সফলভাবে হামলা চালানো হয়েছে। ফিলিস্তিন ও লেবাননের জনগণের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এ হামলা চালানো হয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেন, তাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে নিশানায় আঘাত হেনেছে।
প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রশংসা করেছে হুতি। তারা জানিয়েছে, গাজা ও লেবাননের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধ না করা এবং গাজা অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আমরা ইসরায়েলি শত্রু বা তাদের সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান প্রসারিত করতে দ্বিধা করব না।
এদিকে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, দুই দেশের সেনাদের পাল্টাপাল্টি হামলায় ইসরায়েলের অন্তত দুই সেনা নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৮ জন।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে বরাতে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ ভোরে লেবাননের সীমান্তবর্তী ওদাইশেহ শহরে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই সেনা নিহত এবং ১৮ জন আহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ইসরায়েল লেবাননে স্থল অভিযান শুরুর ঘোষণা দেওয়ার পর এটি প্রথম মুখোমুখি সংঘর্ষ।
আলজাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের জন্য দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে স্থল অভিযান গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের মুখোমুখি হওয়ার চেয়ে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। কেননা হিজবুল্লাহ একটি শক্তিশালী শত্রুপক্ষ, যারা দীর্ঘ প্রশিক্ষণ নিয়েছে এবং তাদের সৈন্যরা সিরিয়ায় বহু বছর ধরে যুদ্ধ করেছে।
এর আগে আলজারিরা জানায়, লেবাননে স্থল হামলা শুরুর পর ইসরায়েলের পদাতিক বাহিনী প্রথমবারের মতো মুখোমুখি প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে। বুধবার ভোরে ওদাইসেহ শহরে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টাকালে লেবাননের যোদ্ধারা তাদের গতিরোধ করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানে ব্যাপক যুদ্ধ চলছে।
মন্তব্য করুন