ইসরায়েল ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ১৮০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। যার ৯০ শতাংশ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে বলে দাবি তেহরানের। এরপর বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো তাদের পররাষ্ট্রনীতির আলোকে একের পর এক বিবৃতি দিচ্ছে। এমন সময় সব পক্ষের নজর ছিল মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তি সৌদি আরবের দিকে।
লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়ার পর মুখে কুঁলুপ এঁটে ছিল সৌদি আরব। তবে ওই হত্যাকাণ্ডের পর পর লেবাননে যখন ইসরায়েলি বাহিনী স্থল অভিযান শুরু করে, তখন বিবেক জাগ্রত হয় রিয়াদের।
ইসরায়েলকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে। অবশ্য দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বানও জানায় সৌদি আরব।
ইরানের বিশেষ করে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পরম মিত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন নাসরুল্লাহ। তাই বন্ধুর এমন বিয়োগ মেনে নিতে পারেননি তিনি। দিয়েছিলেন চরম প্রতিশোধের হুমকি। মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলে ১৮০টি মিসাইল ছুড়ে ইরান জানান দিল, বন্ধুর মৃত্যু বৃথা যেতে দেবে না তারা।
মুহুর্মুহু মিসাইল হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ১ হাজার ৮০০ বার সাইরেন বেজে ওঠে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেখানকার বেশ কিছু স্থাপনাও। কয়েকজন সেনাসদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও কারও মৃত্যুর খবর জানা যায়নি। তবে ইরানের ছোড়া এই মিসাইলে ফিলিস্তিনে অন্তত একজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম।
মধ্যপ্রাচ্যের সামরিক শক্তিধর দুই দেশ এমন সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার পর বিশ্বনেতারা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তবে অবাক করে দিয়ে নীরবতার পথ বেছে নেয় সৌদি আরব। এ ইস্যুতে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়াই দেখায়নি তারা। চীনের মধ্যস্থতায় ইরানের সঙ্গে সৌদির সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলেও ইসরায়েলের সঙ্গেও রিয়াদের সখ্যর আগ্রহ রয়েছে বলে গুঞ্জন শোনা যায়। এ জন্যই কি এখনো নীরব সৌদি আরব?
মন্তব্য করুন