কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৭ পিএম
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আহ্বান ইহুদিদের

ফাইল ছবি।
ফাইল ছবি।

রাতারাতি পাল্টে গেছে মধ্যপ্রাচ্যের সব হিসাব-নিকাশ। লেবাননের বৈরুতে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সদরদপ্তর লক্ষ্য করে চালানো হামলায় ওই অঞ্চলে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। শুক্রবারের ওই হামলায় নিহত হন প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। ইসরায়েলের জন্য একসময় ত্রাস হয়ে ওঠা, নাসরুল্লাহকে হত্যায় দীর্ঘদিন ধরেই পরিকল্পনা করছিল তেল আবিব। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন ঘিরে পুরো বিশ্বের নজর যখন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে, তখনই এই হামলা চালায় ইহুদি রাষ্ট্রটি।

আবাসিক একটি ভবনের নিচে আন্ডারগ্রাউন্ডে সদরদপ্তর বানিয়েছিল লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধারা। কিন্তু ভয়ংকর বাংকার বাস্টার বোমা ফেলে সেই সদরদপ্তর গুঁড়িয়ে দেয় ইসরায়েল। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের গোপন এক মিটিং চলাকালে এমন হামলায়, পালানোর সুযোগ পাননি নাসরুল্লাহ। তাই সেখানেই মারা যান। নাসরুল্লাহ হত্যার এই মিশনে বেসামরিক ব্যক্তিরা নিহত হয়েছে। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়। তবে পরম মিত্র যুক্তরাষ্ট্র বরাবরের মতো এবারও ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে।

সরকার পতনের আন্দোলন আর গাজা থেকে ইসরায়েলি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা নিয়ে দেশের ভেতর ব্যাপক চাপে ছিলেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেই ইস্যুর সমাধান না করে, জাতিসংঘে শুক্রবার হঠাৎ হাজির হয়ে সিরিয়া, ইরাক ও ইরানকে মধ্যপ্রাচ্যের অভিশাপ বলে মন্তব্য করেন। গেল এক দশকের বেশি সময় ধরে সিরিয়া ও ইরাকে রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হওয়ায় ধীরে ধীরে নিজের বলয় গড়েছে ইরান। সেই বলয় ভাঙতেই এখন মরিয়া ইসরায়েল।

তবে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই তেল আবিবের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধারা। বিশেষ করে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত দিয়ে গেল ১১ মাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই রকেট ছুড়েছে তারা। আর তাই, মোক্ষম সুযোগ পেয়ে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নেতাকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পর নাসরুল্লাহকেও দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দিয়ে ইরানকে সরাসরি বার্তা দিল দেশটি।

আর তাই চটে গেছেন ইরানের ইহুদিরাও। নাসরুল্লাহর এই হত্যাকাণ্ড মেনে নিতে পারেননি তারা। এ ঘটনার পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন ইরানের একজন ইহুদি আইনপ্রণেতা ড. হোমাউন সামেহ। ইরানের বার্তা সংস্থা ইসনাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ইসরায়েলের ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীকে অপরাধী হিসেবেও বর্ণনা করেছেন। ইসরায়েল থেকে প্রকাশিত দৈনিক ওয়াইনেট নিউজ তাদের নিউজ পোর্টালে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

নাসরুল্লাহকে হত্যা করতে গিয়ে বেসামরিক ব্যক্তিদেরও নির্বিচারে টার্গেট করা হয় বলে অভিযোগ করেন ইহুদি এই আইনপ্রণেতা। আবাসিক ভবনে চালানো এসব হামলার জন্য শুধু মুখে প্রতিবাদ না করে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বানও জানান সামেহ।

তবে সামেহ শুধু একা নন, নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার ঘটনায় ইসফাহান ও তেহরানের ইহুদি সম্প্রদায় এক যৌথ বিবৃতি শোক প্রকাশ করেছে। জায়নবাদী রেজিমের নির্মম কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নাসরুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে বলেও জানায় তারা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘কঠোরতর তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রবর্তন করতে হবে’

জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করে জবির ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী 

বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা প্রোটিয়াদের

সুলতান মনসুর ৫ দিনের রিমান্ডে

প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ৯ সদস্যের কনসালটেশন কমিটি 

বরিশালের আদালত পরিদর্শনে প্রধান বিচারপতি

৫২ রানের লিডে ইনিংস ঘোষণা ভারতের

মার্কিন দূতাবাসের দখল নিতে ছুটল হাজার হাজার জনতা

তামাবিল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

এইচএসসির ফল ১৫-১৭ অক্টোবরের মধ্যে

১০

ভারতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে গণতন্ত্র নাকি ফ্যাসিবাদের পক্ষে থাকবে : দুদু

১১

আকিজ গ্রুপে চাকরির সুযোগ

১২

সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে কমিটি গঠন

১৩

পল্টন থানার হত্যা মামলায় সুলতান মনসুর গ্রেপ্তার

১৪

ঢাবির গণিত বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের পরিচিতি সভা

১৫

সচিবালয়ে হট্টগোল / শাস্তি পাচ্ছেন ১৭ উপসচিব

১৬

নিজেকে বিয়ে করা সেই ভাইরাল টিকটকারের রহস্যজনক মৃত্যু 

১৭

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ৩৫ প্রত্যাশীদের

১৮

সাবেক এমপি হেনরি স্বামীসহ গ্রেপ্তার

১৯

ঢাকায় আসছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী

২০
X