লেবাননে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। এরপরও হামলা অব্যাহত রেখেছে তারা। ইসরায়েলের এ হামলায় ফিলিস্তিনের আরেক যোদ্ধা গোষ্ঠীর তিন নেতা নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র যোদ্ধা গোষ্ঠী পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব ফিলিস্তিন (পিএফএলপি) জানিয়েছে, সোমবার বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় তাদের তিন নেতা নিহত হয়েছেন। বৈরুতের কোলা জেলায় তাদের নিশানা করে এ হামলা চালানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, কোলা শহরে একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়। এতে তারা নিহত হন। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে লেবানেনর স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আরও একটি রক্তাক্ত দিন পার করেছে লেবানন। দেশটিতে ইসরায়েলি হামলায় আরও ১০৫ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৫৯ জন।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ সিডনের কাছে আইন আল-দেলব এলাকায় দুটি আবাসিক ভবনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের হামলা করা এ ভবনে অনেক বাস্তুচ্যুত পরিবার আশ্রয় নিয়েছিলেন।
লেবানন ছাড়াও ইয়েমেনের দুই বন্দরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলে। এতে তিন প্রকৌশলীসহ অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের নিশানা করে তারা ব্যাপক আকারে বিমান হামলা চালিয়েছে। এর ফলে গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি হামলার তীব্রতার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাতের আশঙ্কা আরও বেড়েছে।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের এ হামলায় যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি কয়েক ডজন আকাশযান অংশ নিয়েছে। রাস ইসা ও হোদেইদাহ পোর্ট এবং পাওয়ার প্লান্টে এ হামলা চালানো হয়েছে।
হুতিদের সংশ্লিষ্ট আল মাসিরাহ টিভি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের এ হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন বন্দরের কর্মী এবং তিনজন বিদ্যুৎ প্রকৌশলী।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলে এ হামলার কারণে লেবানন থেকে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ সিরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে। সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্দি এক এক্স পোস্টে জানান, হামলার কারণে লেবাননের অভ্যন্তরেও দুই লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। লেবানন ও সিরিয়া সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে জাতিসংঘের ত্রাণ কার্যক্রম চলছে।
মন্তব্য করুন