ইয়েমেনের দুই বন্দরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলে। এতে তিন প্রকৌশলীসহ অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের নিশানা করে তারা ব্যাপক আকারে বিমান হামলা চালিয়েছে। এর ফলে গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি হামলার তীব্রতার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাতের আশঙ্কা আরও বেড়েছে।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের এ হামলায় যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি কয়েক ডজন আকাশযান অংশ নিয়েছে। রাস ইসা ও হোদেইদাহ পোর্ট এবং পাওয়ার প্লান্টে এ হামলা চালানো হয়েছে।
হুতিদের সংশ্লিষ্ট আল মাসিরাহ টিভি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের এ হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন বন্দরের কর্মী এবং তিনজন বিদ্যুৎ প্রকৌশলী।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের এ বিমান হামলার কারণে হোদেইদাহ বন্দরের বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।
এর আগে ইসরায়েলের বেন গুরিয়ান বিমানবন্দরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। এ ঘটনার একদিন পর ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে তারা।
النيران تلتهم مدينة #الحديدة ما نشاهده اليوم هو نتيجة مباشرة لأفعال الحـ وثي ومليشياته الارهـ ـابية المدعومة من #إيران هؤلاء الخونة لم يكتفوا بتدمير البلاد من الداخل بل ورطوا #اليمن في حرب مع العالم أجمع و حولوا أرضنا إلى ساحة للمعارك ولم يترددوا في التضحية باليمن واليمنيين من pic.twitter.com/B1FaHeeMya — عبدالله السالمي Abdullah Alsalemi (@al__salemi) September 29, 2024
গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে এরই মধ্যে সাড়ে ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হুতিরা বলছে, গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি এবং ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে তারা লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা করে আসছে।
মার্কিন সেনা সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে ৫০টির বেশি জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুতিরা। তাদের হামলার ভয়ে বেশিরভাগ জাহাজ কোম্পানি গুরুত্বপূর্ণ এই দুই নৌপথ এড়িয়ে গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছে। এতে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে পশ্চিমারা।
হুতিদের হামলার জবাবে বেশ কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে একটি টহল জোট গঠন করে যুক্তরাষ্ট্র। এই জোট গঠন করেও ইরানপন্থি যোদ্ধাদের থামাতে না পেরে ইয়েমেনে হুতিদের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী। তবে হামলা করেও এখন পর্যন্ত তাদের থামাতে পারেনি পশ্চিমারা।
মন্তব্য করুন