রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মরছে ফিলিস্তিন-লেবানিজরা, মুসলিম বিশ্ব কি হাততালি দেওয়া দর্শক?

সৌদি আরব আয়োজিত সম্মেলনে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর নেতারা। ছবি : সংগৃহীত
সৌদি আরব আয়োজিত সম্মেলনে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর নেতারা। ছবি : সংগৃহীত

গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে গত এক বছর ধরে ইসরায়েল ও লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত লড়াই চলছে। এতে শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের অধিকাংশই প্রতিরোধ যোদ্ধা। এছাড়া উভয় পক্ষে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।

এই অবস্থায় লেবাননে নতুন করে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে লেবাননের ইরানপন্থি সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করেছে তারা।

হিজবুল্লাহর প্রধান নিহতের ফলে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতময় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে নতুন মাত্রায় যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার। নতুন এই পরিস্থিতি নিয়ে নানা সমীকরণ মেলাচ্ছে বিশ্বের পরাশক্তি দেশগুলো।

বিশ্বের মুসলমান প্রধান দেশগুলো সবসময় ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন এবং ‘নিপীড়িত’ ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে এলেও বড় ধরনের সংকট এলে পুরো মুসলিম বিশ্বকে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে খুব একটা শক্ত অবস্থান নিতে দেখা যায় না।

এমন কি মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি কিংবা আরব লীগও ইসরায়েলের সঙ্গে সংকটকালে ফিলিস্তিনের পক্ষে খুব জোরালো কোনো ভূমিকা নিতে পারে না।

গাজা ইস্যুকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত লেবাননের প্রতিরোধ যুদ্ধ এবং ইয়েমেনের হুতি যুদ্ধা ছাড়া, অন্য কেউ-ই ফিলিস্তিনের পাশে সরাসরি অবস্থান নেয়নি। মুখে ফাঁকা বুলি আওড়ানো, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে ভোটদান, ত্রাণ পাঠানো এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে মামলা ছাড়া মূলত কোনো দেশই ফিলিস্তিনিদের জন্য তেমন কিছু করতে পারেনি।

যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রভাবশালী পশ্চিমা দেশগুলো ইসরায়েলের সর্বাত্মক সমর্থনে এগিয়ে এসেছে। বিপরীতে মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর মধ্যে ইরান ছাড়া আর কোনো দেশকেই উচ্চকণ্ঠে কথা বলতে দেখা যায় না। বরং কোনো কোনো মুসলিম দেশের প্রতিক্রিয়া ছিল একেবারেই নখদন্তহীন।

বিশ্লেষকরা বলছেন মুসলিম বিশ্বের জনগণ ফিলিস্তিনের পক্ষে একাট্টা হলেও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কাঠামোর দুর্বলতার কারণে সরকারগুলোর পক্ষে শক্ত অবস্থান নেওয়া সম্ভব হয় না।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া বা শক্ত অবস্থান নেওয়ার ক্ষেত্রে মুসলিম দেশগুলোর জন্য বড় সীমাবদ্ধতার জায়গা হলো যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের অবস্থান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বৃষ্টি নিয়ে সুখবর

গণঅধিকার অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে খুঁটি হিসেবে কাজ করছে

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

‘ভারতকে ছাড়া বাংলাদেশের পরিস্থিতি উন্নতি হবে না’

ইসরায়েলকে ছাড় দিচ্ছে না প্রতিরোধ যোদ্ধারা

কয়রায় গণঅধিকার পরিষদের আনন্দ মিছিল 

অবশেষে কমলো সোনার দাম

ভারতে টাইগার রবির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

যুক্তরাষ্ট্রে ঘূর্ণিঝড় হেলেনের ভয়াবহ তাণ্ডব

মামলার আসামি হলেই গ্রেপ্তার নয় : আইজিপি

১০

বৈরুতে বিপাকে বাংলাদেশিরা, দ্রুত সরে যাওয়ার পরামর্শ

১১

বিএনপি জনগণের ভালোবাসার ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায় : নয়ন

১২

সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকারীদের বিচার দাবি ‘সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের’

১৩

আরব শেখদের লালসার শিকার ভারতের কুমারীরাও!

১৪

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে গেল ৯৯ টন ইলিশ

১৫

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে মাহমুদুর রহমান

১৬

নেতাকর্মীদের মানুষের পাশে থাকার আহ্বান যুবদল সভাপতির

১৭

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৫ জেলার বিদ্যুৎ শ্রমিকদের হুঁশিয়ারি

১৮

মরছে ফিলিস্তিন-লেবানিজরা, মুসলিম বিশ্ব কি হাততালি দেওয়া দর্শক?

১৯

সৈয়দ আফছার আলী ডিগ্রি কলেজ / ৮ বছর অনুপস্থিত থেকেও বেতন নেন পিয়ন সেলিম 

২০
X