লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহর এয়ার ফোর্সের প্রধানদের একজনকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর দাহিয়েহ ঘাঁটিতে কমান্ডার মোহাম্মদ সারুরকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। তিনি ড্রোন বিভাগের প্রধানদের একজন ছিলেন। ক্রুজ মিসাইল এবং আকাশ প্রতিরক্ষাসহ গোষ্ঠীটির ড্রোন বহরের জন্য মূলত তাকে অভিযুক্ত করে আসছে ইসরায়েল।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের এ হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে শুক্রবার সকালে এক বিবৃতিতে এয়ার ফোর্সের ড্রোন বিভাগের প্রধান নিহতদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল।
সামরিক সূত্র জানিয়েছে, মোহাম্মদ সারুর ১৯৮০ সালে হিজবুল্লাহর সদস্য হন। এরপর তিনি আকাশ প্রতিরক্ষা বিভাগসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এমনকি তিনি হিজবুল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ড্রোন বিভাগেও কাজ করেছেন।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষ বাহিনী জানিয়েছে, সারুর ইসরায়েলে অসংখ্য বিস্ফোরক ড্রোন ও নজরদারি ড্রোন অভিযান পরিচালনা করেছেন।
এর আগে লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা ও অপারেশন কমান্ডার ইব্রাহিম আকিল নিহত হন। ২০ সেপ্টেম্বর বৈরুতে ইসরায়েলের চালানো হামলায় তিনি নিহত হন।
জানা গেছে, হিজবুল্লাহর এ কমান্ডারের মাথার দাম ধরা হয়েছিল সাত মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় দাঁড়ায় ৮৩ কোটি ৬৭ লাখ ৫৮ হাজার ৪৪৭। আকিল ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ সন্ত্রাসীর তালিকায়। দীর্ঘদিন ধরে তাকে হত্যা বা গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছিল।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮৩ সালে বৈরুতে দুটি ট্রাক বোমা হামলার জন্য আকিলকে দায়ী করা হয়। ওই সময় আমেরিকান দূতাবাস এবং একটি ইউএস মেরিন ব্যারাকে হামলার ঘটনায় ৩০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়। এ ঘটনার পর তার খোঁজে বিপুল অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছিল মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এমনকি কেউ যদি তার অবস্থান জানিয়ে তথ্য দিতে পারে তবে তাকেও পুরস্কারের জন্য বিবেচিত করার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন