ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ইসরায়েলকে ‘রক্তপিপাসু’ উল্লেখ করেছেন। তিনি দেশটির কার্যক্রমের নিন্দা ও কটাক্ষ করেছেন।
তেহরানে ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি ওই মন্তব্য করেন। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পেজেশকিয়ান দক্ষিণে লেবাননে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডারদের এক সমাবেশে মারাত্মক হামলার একদিন পরে সেনা সমাবেশে যান এবং এসব কথা বলেন।
বহিরাগত হুমকির বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিরোধ ক্ষমতা উল্লেখ করে পেজেশকিয়ান বলেন, কোনো শত্রু ইরানের মাটিতে আক্রমণ করার সাহস যেন না করে। তিনি যোগ করে বলেন, এই অঞ্চলে ইসলামী দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সংহতি খুবই প্রয়োজন। এর মাধ্যমেই মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এই ঐক্যের মাধ্যমে আমরা দখলদার, রক্তপিপাসু এবং অপরাধী ইসরায়েলকে দমন করতে পারি। তারা নারী, পুরুষ এবং শিশুদের প্রতি কোনো দয়া করে না।
এদিকে লেবাননে আহত অনেককে তেহরানে আনা হয়েছে। সেখানের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লেবাননিদের দেখতে যান ইরানি প্রেসিডেন্ট। তিনি আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং শোকাহতদের সান্ত্বনা দেন।
গত মঙ্গল ও বুধবার লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ব্যবহার করা কয়েক হাজার পেজার ও ওয়াকিটকিতে একযোগে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৩৭ জন নিহত ও ৩ হাজার মানুষ আহত হন।
এর জন্য ইসরায়েলকে দায়ি করছে হিজবুল্লাহ। সশস্ত্র গোষ্ঠীটি কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এরই মধ্যে লেবাননে ভয়ংকর বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হত্যা করা হয়েছে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিকে। নিহত ওই কমান্ডারের নাম ইব্রাহিম আকিল। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী আকিলের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে। যদিও লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধারা আনুষ্ঠানিকভাবে তার নিহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেনি।
আকিল লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের এলিট ‘রাদওয়ান বাহিনীর’ জ্যেষ্ঠ নেতা ছিলেন। হামলার সময় তিনি একটি বৈঠকে ছিলেন। লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা এবং ফিলিস্তিনের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের মধ্যে ওই বৈঠক চলছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ইসরায়েলের হামলায় দুটি ভবন সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন