পেজার বিস্ফোরণের ঘটনায় লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলকে দায়ী করে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, এ হামলার প্রতিশোধ গ্রহণে তারা অঙ্গীকারবদ্ধ।
বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলে, ‘অন্যান্য দিনের মতো তারা গাজা, গাজার জনগণ ও তাদের প্রতিরোধের প্রতি সমর্থন জানিয়ে অভিযান চালিয়ে যাবে। তবে মঙ্গলবারের হত্যাকাণ্ডের জন্য অপরাধী শত্রু (ইসরায়েল) কঠোর শাস্তির অপেক্ষায় আছে।চলমান প্রতিরোধ হামলার থেকে পৃথক একটি প্রতিশোধের পথ তৈরি করেছে শত্রুরা।’
এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের কাছ থেকেও কঠোর বার্তা এসেছে। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান বলেন, আঞ্চলিক সংঘাত ছড়িয়ে দেওয়ার ইসরায়েলি চেষ্টা অত্যান্ত বিপজ্জনক।
ফোনালাপে পেজার হামলায় এরদোয়ান দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের জন্য প্রার্থনা করেছেন। তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। এরদোয়ান আরও বলেন, এই অঞ্চলে সংঘাত ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের প্রচেষ্টা অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া ইরানও ইসরায়েলের দিকে আঙুল তুলেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেসকিয়ানের ওয়েবসাইটে বলা হয়, পশ্চিমা শক্তি ও যুক্তরাষ্ট্র যে জায়নবাদীদের অপরাধ, গণহত্যা, গুপ্তহত্যা সমর্থন করে তা পেজার বিস্ফোরণের ঘটনা আবারও প্রমাণ করে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার লেবাননে পেজার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ সময় অন্তত ৯ সদস্য নিহত হন। এরপর নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, মার্কিন কর্মকর্তারা এ অভিযানের বিষয়ে ব্রিফ করেছেন। তারা বলেছেন, লেবাননে হিজবুল্লাহ সদস্যদের ওপর মঙ্গলবার হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাইওয়ানের তৈরি পেজারে বিস্ফোরক উপাদান লুকিয়ে রেখেছিল।
এরপর বুধবার দেশটিতে দ্বিতীয় দফায় তারবিহীন যোগাযোগের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এতে অন্তত ২০ জন নিহত ও সাড়ে চার শতাধিক আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট যুদ্ধের নতুন পর্ব ঘোষণার পর এ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে উত্তরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি বিভাগকে পুনরায় মোতায়েন করেছিলেন তারা।
মন্তব্য করুন