চিরশত্রু ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। গেল জুলাইয়ে ক্ষমতাগ্রহণের পর সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) প্রথমবার সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন তিনি। এ সময় কথা বলেন বিভিন্ন ইস্যুতে। পেজেশকিয়ানের অভিযোগ, ইরানকে আঞ্চলিক যুদ্ধের দিকে টেনে নিতে চাইছে ইসরায়েল।
দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এমন মন্তব্য করলেন পেজেশকিয়ান। তিনি বলেন, ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার মাধ্যমে তেহরানকে আঞ্চলিক যুদ্ধে জড়াতে চাইছে ইসরায়েল। কিন্তু ইরানের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। তেহরানের মাটিতে ওই হত্যাকাণ্ড আঞ্চলিক রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছিল।
নতুন প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরানে গিয়ে গত ৩১ জুলাই হত্যাকাণ্ডের শিকার হন হানিয়া। তিনি হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে আসছে ইরান। এজন্য চরম প্রতিশোধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে দেশটি। তবে ইসরায়েল হত্যাকাণ্ডে দায় অস্বীকার করেছে।
ইরান পরমাণু অস্ত্র বানাতে চাইছে না বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন পেজেশকিয়ান। নিজ দেশের পরমাণু কর্মসূচির পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের কাছে মিসাইল নেই। ইসরায়েল গাজার মতো আমাদের ওপরও যেকোনো সময় বোমা ফেলতে পারে। আমরা আমাদের আত্মরক্ষা সক্ষমতা ত্যাগ করব না।
নির্বাচনী সমাবেশে পেজেশকিয়ান পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টিও উঠে আসে। এক সাংবাদিক পেজেশকিয়ানের কাছে জানতে চান, নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কিনা? জবাবে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হলেই সরাসরি সাক্ষাৎ হতে পারে।
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকেই তেহরানকে শত্রু বলে মনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। এ নিয়ে দেশ ৩টির মধ্যে উত্তেজনা থাকলেও গেল ১১ মাসে তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনের মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার মতো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদিও বিশ্লেষকদের বিশ্বাস, এখনই সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে চায় না তেল আবিব বা তেহরান কেউই।
মন্তব্য করুন