অধিকৃত ফিলিস্তিন অঞ্চল থেকে ইসরায়েলের অবৈধ উপস্থিতি (দখলদারি) ছাড়তে আলটিমেটাম দেবে জাতিসংঘ। এ আলটিমেটামে তাদের অঞ্চল ছাড়তে ১২ মাসের সময়ে বেঁধে দেওয়ো হবে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের দেওয়া এ সংক্রান্ত একটি খসড়া প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন পদক্ষেপের কারণে ইসরায়েল জাতিসংঘ অধিবেশনের আগে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। বার্ষিক অধিবেশনকে কেন্দ্র করে বিশ্বনেতারা নিউইয়র্কে জড়ো হবেন। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। একইদিন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও ভাষণ দেবেন।
জানা গেছে, গত জুলাই মাসে দেওয়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) পরামর্শমূলক মতামতকে নতুন এ প্রস্তাবে স্বাগত জানানো হবে। ওই সময়ে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব ও বসতি স্থাপনকে অবৈধ ঘোষণা করে তা প্রত্যাহারের পক্ষে মত দেন আদালত।
আদালত তখন দখলদারিত্ব অবৈধ ও বসতি প্রত্যাহারের কথা বললেও এ বিষয়ে কোনো সময়সীমা বেঁধে দেননি। তবে এবার এ কাজের জন্য সাধারণ পরিষদ ইসরায়েলকে ১২ মাসের সময় নির্ধারণ করে দেবে।
আইসিজের মতামত মেনে চলা কারো জন্য বাধ্যতামূলক না হলেও আন্তর্জাতিক আইনে তার গুরুত্ব রয়েছে। ফলে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনে এটি প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবও বাধ্যতামূলক না হলেও এর রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবটি পাস হওয়ার জন্য উপস্থিত সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন হবে। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মানসুর প্রস্তাব পাস হওয়ার মতো ভোট পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। মঙ্গলবার তিনি বলেন, আপনারা ইতিহাসের সঠিক দিকে থাকুন। আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে, স্বাধীনতার সঙ্গে, শান্তির সঙ্গে থাকুন।
এদিকে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন এ প্রস্তাবের সমালোচনা করেছেন। তিনি এটিকে কূটনৈতিক সন্ত্রাসবাদ বলে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ডও।
১৯৬৭ সালে পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিরা এ তিন অঞ্চল নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেন।
মন্তব্য করুন