হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ এখনো শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। বরং দিন যত যাচ্ছে ততই কঠিন হচ্ছে সমীকরণ। এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো শান্তি প্রস্তাব দিলেও তা ব্যর্থ হচ্ছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গোয়ার্তুমির কারণে। তেলআবিবের দাবি যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার নিয়ন্ত্রণ থাকবে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে, তবে তা মানতে নারাজ ফিলিস্তিনিরা। তাই এবার যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নতুন রূপরেখা দিলেন হামাস নেতা। জানালেন কারা নিয়ন্ত্রণ করবে গাজার শাসন।
আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর অঞ্চলটি পরিচালনা করবে ফিলিস্তিনিরা। এ ক্ষেত্রে যৌথ ফিলিস্তিনি শাসন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন হামাসের শীর্ষ নেতা ওসমান হামাদান। তিনি জানান, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরের দিনটি অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের এবং দিনটি ফিলিস্তিনিদের দিন। হামাস নেতা জানান, গাজায় ১১ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতির পরও হামাসের কাছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার যথেষ্ট সম্পদ রয়েছে।
এর আগে, গত মে মাসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজার জন্য একটি যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা অনলাইনে প্রকাশ করেন। এতে তিনি দাবি করেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ফিলিস্তিনিরা ‘অতুলনীয় সমৃদ্ধি’ উপভোগ করবে। এই পরিকল্পনায় গাজায় একটি বন্দর, সৌরশক্তি, বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদন কারখানা এবং নতুন আবিষ্কৃত গাজা গ্যাসফিল্ডের মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। যেদিন ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় জয়লাভ করবে, তার পরদিন থেকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত মোট তিনটি ধাপে এসব বিষয় বাস্তবায়ন করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয় সে পরিকল্পনায়।
তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে বলেছেন, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া গাজায় যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা সমর্থন করতে প্রস্তুত নয় সংযুক্ত আরব আমিরাত।’
অন্যদিকে সৌদি আরবের গোয়েন্দা বাহিনীর সাবেক প্রধান ও যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত দেশটির সাবেক রাষ্ট্রদূত প্রিন্স তুর্কি আল-ফয়সাল বলেছেন, ‘একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা শুধু সৌদি আরবের সঙ্গেই নয়, বাকি মুসলিম বিশ্বের সঙ্গেও ইসরায়েলের সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
মন্তব্য করুন