ফিলিস্তিনে বিমান হামলা চালানোর আগে প্রায়ই আকাশ থেকে লিফলেট ফেলত ইসরায়েল। এবার একই কায়দায় লেবাননের আকাশ থেকে দেশটিতে লিফলেট ফেলেছে তেল আবিব। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) লেবাননের সীমান্তবর্তী একটি গ্রামে ওই লিফলেট ফেলা হয়। তবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছে, অনুমতি ছাড়াই একটি ব্রিগেড এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।
গেল ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনের যোদ্ধারা। ওই হামলার পাল্টা প্রতিশোধে গাজাকে মাটির সঙ্গে মিটিয়ে দেওয়ার মিশন নেয় ইসরায়েল। তবে সীমান্তের ওপর থেকে ইসরায়েলকে আতঙ্কে রেখেছে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধারা। গেল কয়েক মাস ধরে লেবাননের সঙ্গেও ইসরায়েলের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার মতো পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
এবার দক্ষিণাঞ্চলীয় লেবাননের বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি খালি করতে বলল ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। গেল ১১ মাসের মধ্যে এই প্রথম এমন কোনো নির্দেশ দিল ইসরায়েল। লেবাননের সরকারি বার্তা সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইসরায়েলের শত্রুরা আল-ওয়াজ্জানিতে লিফলেট ফেলেছে। ওই এলাকা এবং আশপাশে যারা বাস করেন, তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে।
আল-ওয়াজ্জানির মেয়র আহমেদ আল-মোহাম্মদ ওই লিফলেটের একটি ছবি এএফপির সঙ্গে শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যায়, মানচিত্রের এক জায়গা লাল চিহ্ন দেওয়া আছে। ওই এলাকাই খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে লিফলেটে। এই মুহূর্তে বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে উত্তরে খাইয়াম অঞ্চলে চলে যেতে বলা হয়েছে। যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই এলাকা ফেরত না আসতেও নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এ ঘটনায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, ড্রোন দিয়ে ওই এলাকায় লিফলেট ফেলা হয়েছে। এর আগে সেখান থেকে উত্তরাঞ্চলীয় ইসরায়েলে রকেট ছোড়া হয়েছিল। ৭৬৯ ব্রিগেড নিজ উদ্যোগে এই লিফলেট ফেলেছে। উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ড এই লিফলেট ফেলার অনুমোদন দেয়নি। এখন এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এরই মধ্যে ওই এলাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ।
গেল কয়েক মাস ধরেই লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের সর্বাত্মক শুরু হওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ইসরায়েল যেন এ যুদ্ধে জড়িয়ে না পড়ে, তা নিয়ে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সীমান্ত উভয় অংশে উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রতিনিয়ত থেমে থেমে ছোটখাটো হামলার মতো ঘটনাও ঘটছে। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলো ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠেছে বলে বিশ্বাস সামরিক বিশ্লেষকদের।
মন্তব্য করুন