গাজাকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে নিজেদের অস্ত্র ভাণ্ডারের সবটুকু ঢেলে দিচ্ছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় বন্দি ইসরায়েলিদের উদ্ধার করতে সামরিক চাপের বিপরীতে নতুন কিছু ভাবতেই পারছেন না দখলদার রাষ্ট্রটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
সম্প্রতি এক আরব বেদুইন বন্দিকে জীবিত ও ছয় বন্দিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে ইহুদি সেনারা। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের হাতে থাকা বাকি বন্দিদের নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে গাজার স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গেল জুন মাস থেকে ইসরায়েলি বন্দিদের পাহারা দেওয়া যোদ্ধাদের প্রতি নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মূলত জুনে গাজার নুসেইরাত অঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী একটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে চার বন্দিকে উদ্ধার করে। তারপর থেকেই বন্দিদের নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করে স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা।
বন্দিদের পাহারা দেওয়া নিয়ে নতুন নির্দেশনার ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিন আগেই গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে ছয় ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ উদ্ধার করে ইসরায়েলি বাহিনী। বলা হয়, এসব বন্দিরা যোদ্ধাদের ছোড়া গুলিতে মৃত্যুবরণ করেছে, যদিও এমন দাবি অস্বীকার করেছে যোদ্ধারা।
গাজার প্রধান প্রতিরোধ যোদ্ধা দলে মুখপাত্র আবু উবায়দা জানান, বন্দিদের মৃত্যুর জন্য ইসরায়েল দায়ী থাকবে। তবে বন্দিদের পাহারা দেওয়া নিয়ে ঠিক কী নতুন নিয়ম জারি করা হয়েছে তার কোনো নির্দিষ্ট বিবরণ দেননি তিনি।
তিনি জানান, নেতানিয়াহু একটি চুক্তি করার পরিবর্তে, সামরিক চাপের মাধ্যমে বন্দিদের মুক্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সামরিক চাপ দিয়ে বন্দিদের মুক্তির জন্য জোরাজুরির অর্থ হলো, তাদের কাফন পরিয়ে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া। বন্দিদের পরিবারকে বেছে নিতে হবে যে তারা তাদের প্রিয়জনকে মৃত না কি জীবিত চান।
সম্প্রতি ছয় বন্দিকে মৃত উদ্ধার করা নিয়ে গাজার সামরিক যোদ্ধাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি জানান, যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বন্দিদের হত্যার অভিযোগ এনে নেতানিয়াহু তার দায় এড়ানোর চেষ্টা করছেন।
তিনি জানান, নেতানিয়াহু ছয় বন্দিকে হত্যা করেছেন এবং তিনি বাকিদের হত্যা করতে বদ্ধপরিকর। ইসরায়েলিদের উচিত নেতানিয়াহু বা চুক্তির মধ্যে একটি বেছে নেওয়া।
মন্তব্য করুন