কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ালেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইয়োভ গ্যালান্ট। ছবি : সংগৃহীত
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইয়োভ গ্যালান্ট। ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকা গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতি এবং স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের হাতে বন্দিদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ নিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে দেশটির নিরাপত্তাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে। পরে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কোনো চুক্তির অংশ হিসেবে ফিলাডেলফি করিডোর থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার করা হবে কি না এমন প্রশ্নে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট। ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই করিডর গাজা-মিসর সীমান্তে অবস্থিত। বর্তমানে ফিলাডেলফি করিডর ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি চলাকালে ফিলাডেলফি করিডরে ইসরায়েলি সেনা মোতায়েন রাখা নিয়ে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে দন্দ্ব রয়েছে। হামাসের দাবি, যুদ্ধবিরতি চলাকালে সীমান্ত এলাকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সরিয়ে নিতে হবে। তবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ইসরায়েল।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে নেতানিয়াহু একটি ম্যাপ দেখিয়ে বলেন, মন্ত্রিসভার অনুমোদন সাপেক্ষে তিনি ফিলাডেলফি করিডরে ইসরায়েলি সেনা মোতায়েন করে রাখতে চান। তখন গ্যালান্ট বলেন, এতে হামাস একমত হবে না। ফলে তারা কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে যাবে না। এর জেরে জিম্মি ব্যক্তিদেরও ইসরায়েলে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না।

বিষয়টি নিয়ে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের মধ্যে বেশ কিছু সময় উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় চলে। একপর্যায়ে গ্যালান্ট বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীই যেহেতু সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তিনি সব জিম্মিদের হত্যার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ৩০টি মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।’ পরে নেতানিয়াহুর উপস্থাপন করা ম্যাপের অনুমোদনের জন্য ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়। নেতানিয়াহুর পক্ষে ভোট পড়ে আটটি। বিপক্ষে ভোট দেন শুধু গ্যালান্ট। আর ভোটদানে বিরত ছিলেন ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভির।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের হামলা চালিয়ে প্রায় আড়াই শ জনকে জিম্মি করে হামাস। ওই হামলায় নিহত হন অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন। সেদিন থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ৬৯১ জন নিহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতে গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে হামাস ও ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

২৪ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

ইতিহাসের এই দিনে যত স্মরণীয় ঘটনা

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকায় মার্কেট বন্ধ

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ফোন

নানা আয়োজনে সংবর্ধিত হলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা সায়েক এম রহমান

সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ জনগণ মানবে না : লায়ন ফারুক

চাঁদপুরের জাহাজে হতাহতদের তিনজনের বাড়ি ফরিদপুরে

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় তদন্ত কমিশনে রয়েছেন যারা

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন : অধ্যক্ষ ইউনুছ

ঢাকায় আসবেন ইলন মাস্ক!

১০

আসছে ভিভোর এক্স সিরিজের নতুন ফ্ল্যাগশিপ

১১

জ্যোতি ও পিংকির সেঞ্চুরি

১২

মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিতে দুই সমর্থককে বহিষ্কার করল জামায়াত

১৩

আজিমপুর কবরস্থানে চাঁদাবাজি, আটক ৫

১৪

ডিএফপির নতুন মহাপরিচালক খালেদা বেগম

১৫

সোনারগাঁয়ে বাস-অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষ, যুবক নিহত

১৬

নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে : হেলাল

১৭

স্ত্রী-ছেলের প্রতারণায় হাসপাতালে দিন কাটাচ্ছেন বৃদ্ধ ছলেমান

১৮

নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল আর নেই

১৯

আওয়ামী স্বৈরাচারের নির্যাতন ভুলে যাওয়ার সুযোগ নেই : আমিনুল হক 

২০
X