নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর সর্বাত্মক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। কিন্তু শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ইরানের ভয়ে এখন রীতিমতো সিঁটিয়ে আছে নেতানিয়াহুর সরকার। এখন সম্ভাব্য ইরানি হামলা প্রতিহতে পশ্চিমা বন্ধু রাষ্ট্রদের কাছে সাহায্য চাইছে তেল আবিব।
এরই মধ্যে পশ্চিমা কয়েকটি দেশের কাছে ইসরায়েল আহ্বান জানিয়েছে, যদি ইরান হামলা করে বসে, তাহলে যেন এগিয়ে আসে তারা।
যে কোনো সময় ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে ইরান। তবে তেহরান একা নয়, বিভিন্ন দেশে থাকা তাদের প্রক্সিরাও এ হামলায় যোগ দিতে পারে।
এমন শঙ্কা থেকে এবার ইসরায়েলও জোট গড়তে মনোযোগী হয়েছে। ইসরায়েলকে বাঁচাতে যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের সহায়তার জন্য প্রস্তুত। তবে ইসরায়েল চাইছে আরও দুই পশ্চিমা দেশ তেল আবিবকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুক। এ লক্ষ্যে ওই দুই দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।
ইসরায়েল চাইছে, তেল আবিবকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুক যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। তারা এ জোটে যোগ দিয়ে শুধু ইসরায়েলকে রক্ষাই করবে না বরং ইরানের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতেও হামলা চালাবে, এমনটাই প্রত্যাশা ইসরায়েলের। নিজের ব্রিটিশ ও ফরাসি সমকক্ষ ডেভিড ল্যামি ও স্টেফান সোজোরনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এমন আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। ওই বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি নিয়ে সম্প্রতি নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। এই অঞ্চলে উত্তেজনা প্রশমন এবং ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতে তেল আবিব গিয়েছিলেন ল্যামি ও সোজোরনে। তখনই ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে ইরানের সম্ভাব্য হামলায় তাদের ভূমিকা কী হবে, তা জানাননি ব্রিটিশ ও ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পরে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা একটি কূটনৈতিক সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছি। এমতাবস্থায় ইসরায়েলের জবাব কেমন হবে, তা নিয়ে আলোচনা করা সমীচীন নয়। তবে আমরা ইরানের পাল্টা হামলা ঠেকাতে কাজ করছি। ইসরায়েলে হামলা হলে, দেশটির সাহায্যে এগিয়ে আসবে যুক্তরাজ্যও। তবে দেশটি সরাসরি ইরানে হামলা চালাবে না বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকারের একটি সূত্র।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ইরানে গিয়ে বোমা হামলায় নিহত হন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া। ওই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে আসছে তেহরান। ইরানের দাবি, যেহেতু তাদের মাটিতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তাই এর প্রতিশোধ নেওয়া দেশটির দায়িত্ব। কিন্তু এমন হুমকি দেওয়ার পরও কয়েক সপ্তাহ কেটে গেছে, কিন্তু ইরান এখনো ইসরায়েলে কোনো হামলা চালায়নি।
মন্তব্য করুন