হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াহর মরদেহ ইরান থেকে কাতারের রাজধানী দোহায় নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) মরদেহ বিশেষ বিমানে সেখানে নেওয়া হয়। আজ শুক্রবার (২ আগস্ট) তার দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে দোহায় দাফন করা হবে।
কাতারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতারে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের প্রধান নেতাকে সম্মান জানাতে প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। স্থানীয় মানুষ ছাড়াও ফিলিস্তিনি, হামাসের সমর্থক গোষ্ঠী এবং অন্যান্য দেশের মানুষ জানাজায় অংশ নেবেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানে হানিয়াহর প্রথম জানাজা হয়। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় অনুষ্ঠিত জানাজার ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। এতে দেশটির রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেশকিয়ানসহ বিপুল শোকপ্রার্থী এবং সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে শোক মিছিল বের করা হয়। সেটি আজাদি চত্বরের দিকে যাত্রা করে। এ সময় হাজারো মানুষ তার কফিন ছুয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। অনেকে প্রতিশোধ গ্রহণের স্লোগান দেন।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী এবং ইরান বুধবার ভোরে জানায়, তাদের নেতা গুপ্তহত্যার শিকার হয়ে শহীদ হয়েছেন। এ জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে তারা। তবে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশটির তিন কর্মকর্তা দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে জানান, ইসরায়েলে সরাসরি হামলার নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ইতিমধ্যে গোপনে তিনি হামলার আদেশও জারি করেছেন।
সংবাদমাধ্যমটির বুধবারের (৩১ জুলাই) প্রতিবেদনে বলা হয়, তথ্যদাতারা ইরানের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা। তাদের দুজন রেভল্যুশনারি গার্ডের সদস্য। কিন্তু প্রকাশ্যে তথ্যপ্রদানের সুযোগ তাদের না থাকায় সূত্রটি গোপন রাখা হয়েছে। ওই সূত্র জানায়, তেহরানে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যার জবাবে পাল্টা আক্রমণের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন খামেনি। ইরানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিঘ্নিতের প্রতিশোধ এবং চলমান উত্তেজনায় নিজেদের শক্তি প্রদর্শনই এ হামলার উদ্দেশ্য।