ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। ইরানে তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এবার তার হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হানিয়া ইরানের রাজধানী তেহরানের যে গেস্টহাউসে অবস্থান করছিলেন সেখানে দুই মাস আগে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি বোমা রাখা হয়েছিল। হানিয়া সেখানে গেলে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাত কর্মকর্তা এবং যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তার বরাতে নিউইয়র্ক টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হানিয়া অবস্থান করা গেস্ট হাউসটি ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) ছিল। হাউজটিতে খুব গোপনে চোরাই পথে বোমা স্থাপন করা হয়েছিল।
আইআরজিসির দুই কর্মকর্তা জানান, ২০২০ সালে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাকরিহজাদেহকেও রিমোট কন্ট্রোল মেশিনগান দিয়ে হত্যা করেছিল। এবার হানিয়াকেও একইভাবে হত্যা করা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের পাঁচ কর্মকর্তার বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হানিয়াকে হত্যার পর বিষয়টি ইসরায়েলের গোয়েন্দারা যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করেন। ইসরায়েল এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে মার্কিন একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
কর্মকর্তারা নিউইয়র্ক টাইমসকে জানান, বোমার বিস্ফোরণে ভবনের জানালা ও দেয়ালের অংশ খসে পড়েছে। তবে ভবনটি অক্ষত রয়েছে। এ বিষয়টি প্রমাণ করে যে ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়নি।
এর আগে আল জাজিরা জানায়, ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসমাইল হানিয়া গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন। ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) একটি বিবৃতি উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হানিয়া মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) থেকে তেহরানে অবস্থান করছিলেন। হামাস নেতারা যে ভবনে অবস্থান করছিলেন সেখান থেকে বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে হানিয়া এবং তার একজন দেহরক্ষীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি এক বিবৃতিতে হামাসও নিশ্চিত করেছে। তারা বলছে, আমাদের ভাই, নেতা, মুজাহিদ, স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রধান ইসমাইল হানিয়াহর তেহরানের বাসভবনে বিশ্বাসঘাতক জায়নবাদীরা হামলা করেছে। তিনি শহীদ হয়েছেন। ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ফিলিস্তিনি জনগণ, আরব ও ইসলামি জাতি এবং বিশ্বের সব স্বাধীন মানুষের কাছে শোকের দাবি করে।
মন্তব্য করুন