ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। ইরানে তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তার এ হত্যার ঘটনায় আঞ্চলিক জলসীমায় ইসরায়েলি জাহাজে হামলার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আল জাজিরার সাংবাদিক ওমর হাওয়াশ বলেন, গালফ, ওমান ও আরব সাগরের কাছাকাছি এলাকায় ইসরায়েলের জাহাজ রয়েছে। এসব এলাকা ইরানের খুব কাছেই অবস্থিত। ফলে হানিয়ার মৃত্যুতে ইসরায়েলকে সরাসরি নিশানা করতে চাইলে তারা এগুলোতে হামলা চালাতে পারে।
তিনি বলেন, আগামী কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে ইরানের প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান নিশ্চিত করেছেন যে ইরান তার সম্মান, মর্যাদা এবং তার জাতীয় কর্তৃত্ব রক্ষা করবে। আর এটি ইংগিত করে যে হানিয়ার মৃত্যুর বিষয়ে ইরানের প্রতিক্রিয়া আসন্ন। কেননা ইরানের সর্বোচ্চ নেতাও সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানানোর কথা উল্লেখ করেছেন।
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ফিলিস্তিনের সমর্থন জানিয়ে আসছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা। এরই ধারাবাহিকতায় তারা ইসরায়েলি জাহাজে হামলাও চালিয়ে আসছে।
মার্কিন সেনা সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে ৫০টির বেশি জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুতিরা। তাদের হামলার ভয়ে বেশিরভাগ জাহাজ কোম্পানি গুরুত্বপূর্ণ এই দুই নৌপথ এড়িয়ে গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছে। এতে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে পশ্চিমারা।
হুতিদের হামলার জবাবে বেশ কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে একটি টহল জোট গঠন করে যুক্তরাষ্ট্র। এই জোট গঠন করেও ইরানপন্থি যোদ্ধাদের থামাতে না পেরে ইয়েমেনে হুতিদের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী। তবে হামলা করেও এখন পর্যন্ত তাদের থামাতে পারেনি পশ্চিমারা।
মন্তব্য করুন