কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৪, ১০:৫১ এএম
আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইরানে নিহত কে এই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের প্রধান নেতা

ইসমাইল হানিয়াহ। ছবি : সংগৃহীত
ইসমাইল হানিয়াহ। ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যা করা হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে আলজাজিরা বুধবার (৩১ জুলাই) এ খবর জানায়। তিনি রাজনৈতিক শাখার প্রধান হলেও তাকেই গোষ্ঠীটির সর্বোচ্চ নেতার সম্মান দেওয়া হতো।

জানা গেছে, ১৯৬২ সালে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে হানিয়াহর জন্ম। শিশু বয়স থেকেই তার জীবন দুঃখ-দুর্দশায় ভরা। জাতিসংঘ পরিচালিত শরণার্থী স্কুলে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। পরে গাজার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করেন।

হানিয়াহ প্রথম ইন্তিফাদার প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন এবং ইসরায়েলি সামরিক আদালত তাকে কারাদণ্ড প্রদান করেন। ১৯৮৯ সালে তিন বছরের জন্য কারাবরণ করেন তিনি। এরপর ১৯৯২ সালে আরও কয়েকজন হামাস নেতার সঙ্গে হানিয়াকে ইসরায়েল ও লেবানন সীমান্তের শূন্যরেখায় ছেড়ে দেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। এক বছর নির্বাসনে থাকার পর ইসমাইল গাজায় ফিরে রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হন। তার বিচক্ষণতায় ১৯৯৭ সালে হামাসের মতাদর্শিক গুরুর কার্যালয়ের প্রধানের দায়িত্ব পান তিনি।

এর সূত্র ধরে গাজা উপত্যকায় হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হয়ে ওঠেন ইসমাইল হানিয়া। ২০০৪ সালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শেখ আহমেদ ইয়াসিন নিহত হন। এরপর উপত্যকায় ইসমাইল হানিয়াহর প্রভাব বাড়তে থাকে। এ নেতার সরাসরি রাজনীতিতে উত্থান ঘটে ২০০৬ সালের জানুয়ারির নির্বাচনের আগে। তখন মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন বিভক্ত ফাতাহ দলকে হারিয়ে চমক দেখায় হামাস। তখন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান হানিয়াহ। কিন্তু খুব বেশি দিন তিনি এ পদে টিকে থাকতে পারেননি।

ওই নির্বাচনে সাংগঠনিক পারদর্শিতায় কর্মীদের মন জয় করেন তিনি। এর ফলশ্রুতিতে ইসমাইল হানিয়া ২০১৭ সাল থেকে হামাসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার জনপ্রিয়তায় তিনি বারবার গোষ্ঠীটির নেতা নির্বাচিত হন।

২০১৯ সালে হানিয়া গাজা ত্যাগ করে কাতারে বসবাস শুরু করেন। গাজায় অবস্থান করা প্রধান নেতার দায়িত্ব চলে যায় ইয়াহিয়া সিনওয়ারের হাতে।

উল্লেখ্য, ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসমাইল হানিয়াহ গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন। ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) একটি বিবৃতি উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হানিয়াহ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) থেকে তেহরানে অবস্থান করছিলেন। হামাস নেতারা যে ভবনে অবস্থান করছিলেন সেখান থেকে বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে হানিয়াহ এবং তার একজন দেহরক্ষীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

বিষয়টি এক বিবৃতিতে হামাসও নিশ্চিত করেছে। তারা বলছে, আমাদের ভাই, নেতা, মুজাহিদ, স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রধান ইসমাইল হানিয়াহর তেহরানের বাসভবনে বিশ্বাসঘাতক জায়নবাদীরা হামলা করেছে। তিনি শহীদ হয়েছেন। ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ফিলিস্তিনি জনগণ, আরব ও ইসলামি জাতি এবং বিশ্বের সব স্বাধীন মানুষের কাছে শোকের দাবি করে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যশোরে বিএনপি অফিস ভাঙচুর, আ.লীগের ৬৩ নেতাকর্মীর নামে মামলা

হবিগঞ্জে নির্ধারিত সময় শেষেও জমা পড়েনি ৩১টি অস্ত্র

নওগাঁয় দুই সাংবাদিককে তুলে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন

আহাজারি থামছেই না নিহত মাসুদের মায়ের

‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৪৯ শিক্ষককে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে’

রাজশাহীতে মাসুদ হত্যা নিয়ে আ.লীগের বিবৃতি

লাইফ সাপোর্টে মুস্তাফা মনোয়ার

দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস

শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার বিষয়ে ঢাবি শিক্ষকদের মতবিনিময় আজ

মেঘনার গর্ভে বিলীন ২০টি বাড়ি

১০

রিমার্ক-হারল্যানে মেহেদী মিরাজকে উষ্ণ অভ্যর্থনা

১১

যুবদল নেতা নয়নকে অব্যাহতির বিজ্ঞপ্তি ভুয়া

১২

অফিস শেষে বাড়ি ফেরা হলো না হাসান-মাসুমের

১৩

এক কমেন্টেই শিক্ষা জীবন শেষ নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীর 

১৪

বগুড়ায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে খুন

১৫

পাটগ্রাম সীমান্তে বিজিবির উদ্যোগে রাস্তা নির্মাণ

১৬

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে লাঞ্ছিত করলেন যুবদল নেতা

১৭

নেতাকর্মীদের প্রতি বিএনপির বিশেষ বার্তা

১৮

জোরপূর্বক প্রধান শিক্ষকের রুমে তালা, যুবদল-ছাত্রদল নেতা আটক

১৯

ট্রাক শ্রমিকের মৃত্যু / নোয়াখালীতে একরামুলসহ ৫৩ আ.লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

২০
X