নিজেকে দিন দিন বিশ্ব মঞ্চের অন্যতম খেলোয়াড়ে পরিণত করছে ইরান। শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয় দেশটি এবার নিজের গোপন প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে খোদ আমেরিকার মাটিতে। সম্প্রতি এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছে মার্কিন গোয়েন্দারা।
বলা হচ্ছে, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ইরানের বিভিন্ন গোপন কার্যক্রম।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রার্থিতাকে অবমূল্যায়ন করতে কাজ শুরু করেছে ইরান। এ লক্ষ্যে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন গোপন কার্যক্রম শুরু করেছে। এ ছাড়া তেহরানের মদদে ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্পবিরোধী মনোভাব গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপও হাতে নিয়েছে ইরান। সোমবার মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনের সম্ভাব্য হুমকি নিয়ে হালনাগাদকৃত এ পর্যালোচনায় এমনটা জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব দ্য ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টিলিজেন্স তথা ও-ডি-এন-এ এক বিবৃতিতে জানায়, মার্কিন গোয়েন্দারা পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পায়- তেহরান মার্কিন নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চাইছে। হয়তো ইরান এমন কাউকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চায় না যার কারণে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যকার সম্পর্ক আরও উত্তেজিত হয়ে উঠবে।
ও-ডি-এন-এ জানায়, সাম্প্রতিক ইরানি কার্যকলাপগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গোপন অ্যাকাউন্ট এবং এ সম্পর্কিত বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। সংস্থাটি জানায় ২০২০ সাল থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল প্রার্থীর ব্যাপারে ইরান তাদের মত পাল্টায়নি। এমনকি ২০২০ সালের নির্বাচনে তেহরান বহু কার্যক্রম পরিচালনা করে যাতে ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনঃনির্বাচিত না হতে পারেন।
জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশন এক বিবৃতিতে জানায়, মার্কিন নির্বাচনকে প্রভাবিত করার কোনো উদ্দেশ্য বা কর্মকাণ্ডে ইরান জড়িত নয়। মূলত নির্বাচনী প্রচারণায় একটি মনস্তাত্বিক অভিযানের অংশ হিসেবে এমন প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে ইরান। সম্প্রতি ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনায় ইরান যুক্ত ছিল বলে বিভিন্ন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়। যদিও এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেহরান।
মার্কিন গোয়েন্দারা জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী পছন্দের ব্যাপারে রাশিয়ার পছন্দও আগের মতোই আছে। ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছিল রুশ স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা মাধ্যম।
মন্তব্য করুন