গাজার স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের থেকে মুক্তি পেয়েই এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন এক ইসরায়েলি বন্দি। জানান তাকে না কি বিয়ে করতে চেয়েছিলেন গাজার প্রধান প্রতিরোধ আন্দোলনের এক যোদ্ধা। এমনকি তাকে একটি আংটিও দিয়েছিলেন ওই যোদ্ধা। যদিও শান্তভাবে সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন একই সঙ্গে বন্দি থাকা তার মা। তারপরই গেল বছরের নভেম্বরে মা ও মেয়েকে মুক্তি দেয় স্বাধীনতাকামীরা।
মুক্তি পেয়েই এবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে নিজের নাম লিখিয়েছেন সেই নারী বন্দি। বহুল আলোচিত সেই বন্দির নাম নোগা ওয়েইস। চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের অংশ হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন গাজার যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য। এমন তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। আইডিএফ-এর দেয়া এক ফেসবুক পোস্টে তারা জানায়, মঙ্গলবার তেলআবিব থেকে সামরিক প্রশিক্ষণ স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি।
দখলদার সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর নোগা জানান, দীর্ঘ অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পর তিনি মনে করেন সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়াটা তার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত হবে। এ জন্য তিনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীল মাশাকিট তাস বিভাগে যোগ দেয়ার জন্য মনস্থির করেন। এ পদে চাকরি করাটা তার স্বপ্ন ছিল বলেও জানান নোগা। তিনি মনে করেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার মাধ্যমে তিনি দেশের জন্য আরও বেশি অবদান রাখতে পারবেন এবং অন্যদের সাহায্য করতে পারবেন।
গেল বছরের ৭ অক্টোবর তাকে বন্দি করে হামাস যোদ্ধারা। দীর্ঘ ৫০ দিন জিম্মি থাকার পর গেল বছরের ২৫ নভেম্বর বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় মুক্তি পান ১৮ বছর বয়সী নোগা ও তার মা ৫৩ বছর বয়সী সিরি ওয়েইস। তারপরই গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে নোগা জানান, বন্দি থাকার ১৪ দিনের মাথায় এক যোদ্ধা তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। উপহারস্বরূপ তাকে একটি আংটিও দেন ওই যোদ্ধা। সে সময় ওই যোদ্ধা নোগাকে উদ্দেশ্য করে জানান, সবাই মুক্তি পাবে শুধু নোগা ছাড়া, সে তাকে বিয়ে করবে এবং গাজায় তার বাচ্চা লালন পালন করবে।
মন্তব্য করুন