গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় প্রাণহানির সংখ্যা ১ লাখ ৮৬ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেট। ল্যানসেট প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। সূত্র : আরব নিউজ
গবেষণাটি বলছে, গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪ শতাংশ মানুষকেই হত্যা করেছে ইসরায়েল।
ল্যানসেটের গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর আগে গাজার মোট জনসংখ্যা ছিল ২৩ লাখ। এর মধ্যে ১ লাখ ৮৬ হাজার মানুষই ইসরায়েলের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, অক্টোবরে গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের সামরিক হামলা শুরুর পর থেকে ৩৮,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
তবে, ল্যানসেট সমীক্ষা বলছে, স্বাস্থ্য সুবিধা, খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ব্যাপক ধ্বংসের কারণে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, ১০ হাজারেরও বেশি মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে আছে বলে মনে করা হয়েছিল। সেসময় বলা হয়েছিল, ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজার ৩৫ শতাংশ ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে বিভিন্ন রিপোর্ট বলছে, এই ধরনের পরোক্ষ মৃত্যুর সংখ্যা প্রত্যক্ষ মৃত্যুর সংখ্যার থেকে অন্তত তিন থেকে ১৫ গুন বেশি।
গাজার প্রকৃত চিত্র বিবেচনায় প্রতিটি প্রত্যক্ষ মৃত্যুর বিপরিতে অন্তত চারটি পরোক্ষ মৃত্যু থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেই হিসেবে সমীক্ষায় বলা হয়েছে, গাজায় প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ৮৬ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব নয়।
ল্যানসেট সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, মৃতের সংখ্যা নিয়ে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য সঠিক নয় বলে মনে করে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা, জাতিসংঘ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে আমরা ধারণা করছি প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও বহুগুন বেশি।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ঐতিহাসিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এবং যুদ্ধের সম্পূর্ণ মূল্য স্বীকার করার জন্য সত্যিকারের তথ্য নথিভুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি আইনি প্রয়োজনও বটে।
মন্তব্য করুন