ফিলিস্তিন ইসরায়েল যুদ্ধের জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে লেবানন সীমান্তেও। দেশটির প্রতিরোধ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। এতে প্রাণও হারিয়েছে কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা। এবার গোষ্ঠীটি ইসরায়েলে হামলা বন্ধে শর্তের কথা জানিয়েছে।
বুধবার (০৩ জুলাই) বার্তাসংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হিজবুল্লাহর দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা নাইম কাসেম বার্তা সংস্থা এপির এক সাক্ষাৎকারে এ শর্তের কথা জানান। তিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি হলে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে হামলা বন্ধ করবে।
নাইম কাসেম বলেন, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হলো ইসরায়েলের সঙ্গে হিজবুল্লাহর বড় ধরনের সংঘাত এড়ানোর একমাত্র পথ। গাজায় যুদ্ধবিরতি হলে কোনো আলোচনা ছাড়াই ইসরায়েলে হামলা বন্ধ করে দিবে হিজবুল্লাহ।
হিজবুল্লাহর এ নেতা বলেন, কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি ছাড়াই ইসরায়েল সামরিক অভিযান বন্ধ ও গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে তাহলে লেবানন ইসরায়েল সীমান্তে তুলনামূলক কম সংঘর্ষ হবে।
তিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও যুদ্ধবিরতি না কিংবা যুদ্ধ ও যুদ্ধ না এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তাহলে আমরা এখনো এর প্রতিক্রিয়া কেমন হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। কারণ আমরা এর আকার ও ফলাফল কী হবে তা আমাদের জানা নেই।
নাইম কাসেম বলেন ইসরায়েলের বর্তমানে লেবাননে একটি পূর্ণ যুদ্ধ শুরু করার সক্ষমতা বা এমন সিদ্ধান্ত নেই। ইসরায়েল যদি লেবাননে সীমিত আকারে সংঘাত বা বড় ধরনের যুদ্ধ ঠেকিয়ে রাখতে চায় তাহলে যুদ্ধ সীমিত থাকবে এমন আশা তেল আবিবের করা উচিত নয় বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তিনি বলেন, ইসরায়েল সীমিত যুদ্ধ, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ বা আংশিক যুদ্ধের যে কোনো কিছু বেছে নিতে পরে। তবে দেশটির এ আশা উচিত নয়- আমাদের প্রতিক্রিয়া ও প্রতিরোধ ইসরায়েলের নির্ধারিত সীমা ও নিয়মে আটকে থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলার পর থেকে ফিলিস্তিনের সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েল সীমান্তে হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটির আধুনিক অস্ত্র, রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েল বেশ চাপের মুখে পড়েছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের তথ্যানুসারে, দেশটির উত্তর সীমান্ত এরই মধ্যে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া হামলা পালটা হামলার কারণে এলাকা থেকে হাজার হাজার ইসরায়েলি পালিয়ে গেছেন।
মন্তব্য করুন