গাজা যুদ্ধ নিয়ে বছরজুড়ে উত্তপ্ত হয়ে আছে বিশ্ব রাজনীতি। তিন বছরের পুরোনো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এমনিতেই ফিরে এসেছে স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী বিশ্ব রাজনীতি। এ আগুনে ঘি ঢেলেছে হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সর্বাত্মক যুদ্ধ। ফলে বিশ্ব নেতারা এখন ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য দুই ফ্রন্টেই নিজেদের সরব উপস্থিতির জানান দিচ্ছেন।
চলমান পরিস্থিতিতে বাড়ছে আরেকটি বিশ্বযুদ্ধের শঙ্কা। এরমধ্যেই ইসরায়েলকে একপ্রকার হুমকি দিয়েছে পরমাণু পরাশক্তি রাশিয়া।
রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে কিয়েভকে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে চাইছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এ চুক্তি সম্পাদন করা হবে। এমনটা হলে ইসরায়েলকে তার ভয়ংকর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মস্কো। এমনটা জানান জাতিসংঘে রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া।
জানা যায়, ইসরায়েলকে সরবরাহ করা ৮টি পুরাতন প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিয়েভে সরবরাহ করার জন্য ওয়াশিংটন, তেলআবিব ও কিয়েভের মধ্যে একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে গেল সপ্তাহে এমন তথ্য জানায় দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস।
এ চুক্তি স্বাক্ষর করা হলে মস্কোর সঙ্গে তেলআবিবের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত মস্কোর দূত।
চলতি বছরের এপ্রিলে ইসরায়েল ঘোষণা দিয়েছিল তাদের M901 PAC-2 ব্যাটারি অবসরে পাঠাবে। এগুলো তিন দশকের পুরোনো হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশটি। এর পরিবর্তে আরও আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করার কথা জানায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।
তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন এখনই এসব ব্যাটারিকে পরিষেবার বাহিরে পাঠাবে না তেলআবিব। মূলত লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সঙ্গে ইসরায়েরের চলমান উত্তেজনার ফলে এমনটা মনে করা হচ্ছে।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে এসব আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হবে। তারপর সেখান থেকে ইউক্রেনে সরবরাহ করা হবে। এর আগে ইসরায়েলের কাছে আয়রণ ডোম আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের এমন আবদার সরাসরি নাকচ করে দেয় তেলআবিব।
মন্তব্য করুন