বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার প্লান্টেশান খাতে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এ বছরের সেপ্টেম্বর থেকে। মালয়েশিয়া সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচিত কর্মীদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে দেওয়া সতর্কীকরণ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপে প্রাথমিক পর্যায়ে চলছে কোম্পানি সত্যায়ন। কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন বলছে, এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র সত্যায়নের কাজ। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে যাচাই-বাছাই শেষে ইতোমধ্যে সত্যায়নও দেওয়া হয়েছে। তবে এরই মধ্যে একশ্রেণির অসাধুচক্রের মাধ্যমে চাহিদাপত্র সত্যায়ন নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।
সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর ও পদবি ব্যবহার করে চাহিদাপত্রের জাল কপি বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠানো হচ্ছে- যা সঠিক নয়। সত্যায়নের এরূপ জাল কপি তৈরি ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে প্রতারক চক্র প্রতারণার আশ্রয় নিতে ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত বলে মনে করে হাইকমিশন। বিভ্রান্তি এড়াতে কর্মী নিয়োগের সঙ্গে জড়িত সবাইকে এ বিষয়ে আরও বেশি সতর্ক ও হাইকমিশনের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ের পরামর্শ দেওয়া হয়।
এর আগে মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র সত্যায়নের জন্য কাগজপত্রের একটি তালিকা দেয় কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন। এর মধ্যে রয়েছে কোম্পানির অনুমোদনপত্র, সত্যায়ন ফির মূল ব্যাংক স্লিপ, শ্রমিকদের সর্বশেষ বেতন স্লিপ, কোম্পানির পটভূমি তথ্যের একটি প্রোফাইল, ২/৩ জন শ্রমিকের ফোন নম্বর, কোম্পানির বিগত তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি।
এ ছাড়াও প্রয়োজন হবে বিদেশি শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ প্রকল্পের সকসো নথি, বিদেশি কর্মীদের হাসপাতালে ভর্তি এবং সার্জিকা ১ স্কিমের নথি, বিদ্যমান শ্রমিকদের আবাসন সম্পর্কে জেটিকে অনুমোদিত সার্টিফিকেট, জমির মালিকানার দলিল/জমি ইজারা দলিল, গ্যারান্টি পত্র, পরিচালকের স্বাক্ষরিত ডিমান্ড লেটার, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, কর্মসংস্থান চুক্তি, রিক্রুটিং এজেন্ট (বিআরএ) এবং কোম্পানির মধ্যে চুক্তি, মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক কোটা অনুমোদনপত্রসহ সব নথির ২ সেট তৈরি করে ১ সেট মূল এবং ১ সেট অনুলিপি হিসেবে দিতে হবে।
মন্তব্য করুন