জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন। পরে রাজার হস্তক্ষেপে তিনি এ দণ্ডাদেশ থেকে অব্যাহতি পান।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার এক লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। তার ছেলে মোহাম্মদ নিজার এ বিবৃতি পাঠ করেছেন। এ সময় তিনি দাবি করেন, দুর্নীতির যে অভিযোগে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছিল তার মাস্টারমাইন্ড তিনি ছিলেন না।
বিবৃতিতে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে রাষ্ট্রীয় তহবিলে এক মিলিয়ন মালয়েশিয়ান ডলার তছনছ হওয়ার বিষয়টি আমাকে খুব পীড়া দেয়। এজন্য আমি মালয়েশিয়ার জনগণের কাছে ক্ষমা চাইছি।
তিনি বলেন, এ ঘটনার জন্য আমি কারাবাসের সাজা পেয়েছিলাম। এমনকি আমি রাজনীতিতেও নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছি। তবে আজ পরিষ্কারভাবে বলছি যে, এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিলাম না। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ২০০৯ সালে দেশটির প্রধান উন্নয়ন তহবিল ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাদ (ওয়ান এমডিবি) থেকে এক মিলিয়ন ডলার খোয়া যায়। এ ঘটনার তদন্তে নাজিব রাজাকের সংশ্লিষ্টতা মেলে। ফলে তার বিরুদ্ধে অপরাধজনিত বিশ্বাসভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং মুদ্রাপাচার অভিযোগ করা হয়।
২০২০ মালে মালয়েশিয়ার নিম্ন আদালত এ মামলার রায় দেন। এতে তাকে ১২ বছর কারাদণ্ড ও ২১ কোটি রিংগিত জরিমানা করা হয়। পরে নিম্ন আদালতের রায় বাতিল চেয়ে প্রথমে উচ্চ আদালত ও পরে সুপ্রিম কোর্টে তার আইনজীবীরা আপিল করেন। তবে দুই আদালতই নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন।
সুপ্রিম কোর্টে রায় ঘোষণার পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে রাজার কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেন নাজিব রাজাক। দেশটিতে এ ক্ষমার জন্য রাজার নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের পরিষদ রয়েছে। এ পরিষদে অ্যাটর্নি জেনারেল এবং অন্য সরকারি কর্মকর্তারাও রয়েছেন। তারা রাজাকে পরামর্শ দিয়েছেন। এ বোর্ডে তিনি ক্ষমার আবেদন জানালেও তারা কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি।
মন্তব্য করুন