‘প্রতিবেশীরাই অগ্রাধিকার পাবে’। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত রাষ্ট্রপ্রধানদের এই বার্তাই দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি ভবনে সাত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দেখা করেন তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়া মোদি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আমন্ত্রিত রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে দেখা করে মোদি দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় শান্তি এবং সমৃদ্ধির পক্ষে কথা বলেছেন। ভারত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শান্তি এবং উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করে যাবে বলে অঙ্গীকার করেছেন মোদি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় মেয়াদে শপথগ্রহণের পর রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানরা। সেই নৈশভোজে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে দেখা যায় মোদিকে। প্রসঙ্গত, গত বছর এই মুইজ্জু মলদ্বীপের ক্ষমতায় আসার পরেই ভারত মহাসাগরের দেশটির সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয়।
কিন্তু সেই মুইজ্জুকেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো এবং তার সঙ্গে মোদির একান্তে কথা বলাকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করছে ভারতীয় বিশ্লেষকরা। পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় চীনের প্রভাব রুখতে প্রতিবেশী দেশগুলোর দিকে ঝুঁকছেন মোদি।
রাষ্ট্রপতি ভবনের প্রাঙ্গণে মোদি এবং তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুইজ্জু, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহাল ওরফে প্রচণ্ড ও মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ জুগনাথ।
মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত এই রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে কেবল বিক্রমাসিংহে পূর্বনির্ধারিত সোমবার দুপুরেই ভারত ছাড়বেন। বাকি রাষ্ট্রপ্রধানেরা ভারেতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপরপর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তাদের।
উল্লেখ্য, এখনও নতুন সরকারের মন্ত্রীদের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়নি। আজ সোমবার বিকাল ৫টায় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন মোদি। বৈঠকের পরেই দেশের পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম জানা যেতে পারে। বিজেপি সূত্র বলছে, এবারও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হতে চলেছেন এস জয়শঙ্কর।
সূত্র: আনন্দবাজার
মন্তব্য করুন