বলিউড অভিনেত্রী ও নবনির্বাচিত লোকসভার সদস্য কঙ্গনা রানাউতকে থাপ্পড় মারা নারী নিরাপত্তারক্ষীর জন্য পুরস্কারের ঘোষণা এসেছে। পাঞ্জাবের এক ব্যবসায়ী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করে এ ঘোষণা দেন। হিন্দুস্তান টাইমসের শুক্রবারের (৭ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে দিল্লি আসার পথে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে কঙ্গনাকে থাপ্পড় মারেন ভারতের কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর (সিআইএসএফ) ওই নারী কনস্টেবল। কুরবিন্দর কাউর নামে ওই কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। এরই মধ্যে তাকে অভিবাদন জানিয়ে পুরস্কৃত করার ঘোষণার এলো।
পাঞ্জাবের শিবরাজ সিং বেইনস নামে এক ব্যবসায়ী একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে কুরবিন্দর কাউরকে অভিবাদন জানান। বলেন, পাঞ্জাবের জনগণ ও পাঞ্জাবের সংস্কৃতি রক্ষার স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এক লাখ রুপি পুরস্কার দেবেন।
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রার্থী ছিলেন কঙ্গনা। তিনি হিমাচল প্রদেশের মান্ডি আসন থেকে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। নির্বাচনের ফল ঘোষণার দুই দিনের মাথায় তিনি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হলেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড় থেকে দিল্লিতে যাচ্ছিলেন কঙ্গনা। বিকেলে বিস্তারার বিমান ধরতে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন। সেখানে নিরাপত্তা তল্লাশির সময়ে ওই সিআইএসএফ কর্মীর সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। অভিযোগ, কঙ্গনা নিজের মোবাইল তল্লাশির জন্য নির্দিষ্ট ট্র-তে রাখতে চাননি। এর পরই মহিলা নিরাপত্তারক্ষী এসে কঙ্গনাকে সপাটে থাপ্পড় মারেন বলে অভিযোগ।
পরে দিল্লি বিমানবন্দরে নেমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান কঙ্গনা। অভিযোগে তাকে হেনস্তা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এর পরেই অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এবং পরবর্তীতে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় ওই কর্মীকে।
এই ঘটনার পর একটি ভিডিও বার্তায় কঙ্গনা বলেন, পাঞ্জাবে সন্ত্রাসবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। হামলাকারী ওই মহিলা কৃষক আন্দোলনের সমর্থক।
উল্লেখ্য, ভারতে ২০২০-২১ সালের কৃষক বিক্ষোভের সময় আন্দোলনে অংশ নেওয়া পাঞ্জাবের নারীদের নিয়ে এক্সে (তৎকালীন টুইটার) বিতর্কিত পোস্ট করেছিলেন কঙ্গনা। এ কারণে তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন পাঞ্জাবের অধিবাসী কুলবিন্দর। এই ক্ষোভ থেকেই তিনি কঙ্গনাকে চড় মেরেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে অভিযুক্তের ভাই ও কৃষক নেতা শের সিং মাহিভাল এক প্রতিক্রিয়ায় বোনের কাজকে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন, আমি মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে কিছু ঘটেছে। সেখানে কঙ্গনার মোবাইল ও পার্স চেক করার সময় ঘটনাটি ঘটেছে।
শের সিং আরও বলেন, কৃষকদের বিক্ষোভের সময় কঙ্গনা বলেছিলেন, নারীরা সেখানে ১০০ টাকার বিনিময়ে অংশ নিয়েছেন। এ নিয়ে আগে থেকেই কঙ্গনার ওপর ক্ষোভ থাকার ইঙ্গিত দেন শের সিং।
তিনি বলেন, তর্কের সময় আমার বোন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিল। সৈনিক ও কৃষক উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছে। আমরা এই বিষয়ে বোনকে সম্পূর্ণ সমর্থন করি।
মন্তব্য করুন