আরও অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের যুগে প্রবেশ করল ভারত। দেশটি এবার শূন্য থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।
বুধবার (২৯ মে) করা এই পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে নিজেদের প্রযুক্তিতে ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল নরেন্দ্র মোদির সশস্ত্র বাহিনী।
আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সু৩০-এমকেআই যুদ্ধবিমান থেকে রুদ্রম-২ নামের ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি সহজে শত্রুপক্ষের অবস্থান নিশ্চিত হতে পারে। এটি ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি পরিসর থেকে শত্রুর রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি এবং রাডার সংকেত বিশ্লেষণে সক্ষম।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্রটি বিভিন্ন উচ্চতা থেকে নিক্ষেপ করা যায়। শূন্য থেকে এটি ভূমিতে থাকা শত্রুর ঘাঁটিতে আছড়ে পড়ে।
রুদ্রম-২ হলো দেশীয়ভাবে উন্নত ‘সলিড-প্রপেলড এয়ারলঞ্চড মিসাইল সিস্টেম’, যা অনেক ধরনের শত্রু সম্পদকে ধ্বংসে ব্যবহার করা যাবে।
বিশেষ করে শত্রুর ট্র্যাকিং সিস্টেম ও আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা তছনছ করে দিতে পারে। এর ফলে ভূমিতে থাকা শত্রুপক্ষ আকাশ থেকে হওয়া হামলা ঠেকাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হবে, যা যুদ্ধে সহজে ভারতকে জয় এনে দেবে।
সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের দ্রুত উন্নতি বলছে, ভারত ধীরে ধীরে প্রতিরক্ষা খাতে পরনির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠছে। বর্তমানে রাশিয়ার তৈরি অ্যান্টি রেডিয়েশন ক্ষেপণাস্ত্র কেএইচ-৩১ ব্যবহার করছে ভারত। রুদ্রম পুরো দমে উৎপাদন শুরু হলে ভারতের সশস্ত্রবাহিনী আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
এই মাসের শুরুর দিকে ভারত সফলভাবে টর্পেডো সিস্টেমের সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম যুদ্ধযান পরীক্ষা করেছে। এর আগে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের নতুন সংস্করণের সফল পরীক্ষা চালিয়েছিল।
মন্তব্য করুন