হাসপাতালে বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল ফোনের আলোয় শুরু করা হয় সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার। কিন্তু তা সফল হয়নি। এতে গর্ভে থাকা শিশুর সঙ্গে মারা গেলেন প্রসূতিও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিইয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বাণিজ্যনগরী মুম্বাইতে।
জানা যায়, আগ থেকেই হাসপাতালের চিকিৎসার বেহাল দশা। নেই পর্যাপ্ত সরঞ্জাম এবং চিকিৎসক। বিদ্যুৎ চলে গেলে এক প্রকার অচল হয়ে পরে সম্পূর্ণ হাসপাতাল।
ভারতীয় গণমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৯ এপ্রিল খুসরুদ্দিন আনসারি নামের শারীরিক প্রতিবন্ধী এক ব্যক্তি তার স্ত্রী সাহিদুনকে প্রসবের জন্য সুষমা স্বরাজ মেটারনিটি হোমে ভর্তি করিয়েছিলেন।
প্রসূতির পরিবারের অভিযোগ, সেই দিন সকাল থেকেই বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ছিল হাসপাতালটি। এমনকি তিন ঘণ্টা ধরে জেনারেটরও চালানো হয়নি।
এই অবস্থাতেই সকাল ৭ টার দিকে ঐ প্রসূতি নারীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান কর্মরত ডাক্তাররা। অস্ত্রোপচার শুরু হয় মোবাইলের আলোতেই।
এর ঘণ্টাখানেক বাদেই চিকিৎসকরা জানান, প্রসবের সময় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। এমনকি অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে মাকেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি বলে জানানো হয় সাহিদুনের পরিবারের সদস্যদের।
পরিবারের অভিয়োগ, তাদের অনুমতি ছাড়াই সি-সেকশন করতে শুরু করেছিলেন চিকিৎসকেরা। শুধু সাহিদুনের নয়, আরও এক প্রসূতির আস্ত্রোপচারও মোবাইলের লাইটে হয়েছে বলে জনান তারা।
প্রমাণ হিসেবে বিএমসির কাছে ভিডিও ও ছবি পাঠিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।এ ঘটনায় দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ।
মন্তব্য করুন