হোটেলে ভাড়া নিয়েছেন কক্ষ। সেখানে অবস্থান করছিলেন এক নারী ও পাঁচ পুরুষ। হঠাৎ করেই সেখানে হাজির পুলিশ। এরপর আটক করা হয় তাদের। বুধবার (০৩ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোয়ালিয়রের মাধবনগরের একটি হোটেলে ওই পাঁচ পুরুষ ও এক নারী অবস্থান করছিলেন। পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে নারীসহ সাতজনকে আটক করেছে। তারা সেখানে একটি কল সেন্টারের আড়ালে ব্রিটেন আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন।
আটক ওই নারী-পুরুষরা মিলে মাইক্রোসফটের ভুয়া এজেন্ট সেজে প্রতারণা করতেন। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে এ কাজ করতেন। পুলিশ এ কাজে জড়িত একটি গ্যাং সদস্যদের আটক করেছে।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঝাঁসি রোডের আশীর্বাদ হোটেলের দ্বিতীয় তলার একটি রুমে তারা কল সেন্টার পরিচালনা করে আসছিলেন। সোর্স বরাতে পুলিশ এ তথ্য জানতে পারে। আটকরা কল সেন্টারের আড়ালে আমেরিকা, ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ডেকে মাইক্রোসফট কোম্পানির ভুয়া এজেন্ট পরিচয় দিতেন। এরপর তারা কম্পিউটারে ভাইরাস থাকার অজুহাতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযানের সময় তারা কম্পিউটারের সামনে বসে হেডফোন লাগিয়ে কাজ করছিলেন। চেয়ারে বসা অবস্থায় পুলিশ তাদের আটক করেছে। আটকরা হলেন- অভয় রাজাওয়াত, নীতেশ কুমার, দীপক থাপা, পারভেজ আলম, শ্বেতা ভারতী, রাজ কৈলাসকর এবং সুরেশ ওয়াসেল।
গোয়ালিয়রের আইজি অরবিন্দ সাক্সেনা জানান, তাদের কল অপশনে দেখানো ডায়াল, মিসড ও রিসিভ কলে পাওয়া সব নম্বর বিদেশি। তারা প্রায় সাত দিন আগে গোয়ালিয়রে এসেছিলেন। সেখানে তাদের অফিস ও আসবাব দিয়েছিলেন সঞ্জয় ভাদৌরিয়া নামের এক ব্যক্তি। আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আটক ব্যক্তিরা বিদেশিদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন। তাদের প্রত্যেককে প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হতো। এছাড়া নানা গেজেটও উপহার পেতেন। এমনকি তারা প্রতারণার অর্থ ৫ শতাংশ হারে কমিশন পেতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছ থেকে ৮টি ল্যাপটপ, মাউস, ১৫টি মোবাইল ফোন, একটি ফাইবার মডেম-অ্যাডাপ্টার, কলিং স্ক্রিপ্ট, ডেটা শিটসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া তাদের হোটেলের রুম ও ঘড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন