আবগারি দুর্নীতি মামলায় ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তিনি গ্রেপ্তার হওয়ায় তার ক্ষমতাসীন সরকার ও দল আম আদমি পার্টি বড় ধরনের নেতৃত্বের সংকটে পড়েছে। এমন সংকটকালে সরকার ও দল পরিচালনায় নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে কেজরিওয়ালের স্থলাভিষিক্ত কে হবেন সে প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। এখন দল ও সরকার দুটিই একসঙ্গে সামলাতে পারবেন, কেজরিওয়ালের এমন যোগ্য উত্তরসূরি খুঁজে বের করাই দলটির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
এনডিটিভির খবর অনুযায়ী, অরবিন্দের অনুপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী পদে স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়ালের নাম আলোচনায় রয়েছে। তিনি একজন সাবেক আইআরএস কর্মকর্তা। এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সদস্য অতীশি ও সৌরভ ভরদ্বাজের নাম আলোচনায় আসছে।
কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভার বেশ প্রভাবশালী সদস্য অতীশি। তিনি একাই বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় সামলে আসছেন। এদের মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, অর্থ, পিডব্লিউডি, রাজস্ব ও পরিষেবা। তাকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অতীশি আম আদমি পার্টির একজন মুখপাত্রও বটে। তিনি আম আদমি পার্টি সরকার ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পক্ষে কথা বলে আসছেন। এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলন ও টকশোতে বিজেপিকে একহাত নিয়ে আসছেন।
অন্যদিকে সৌরভ ভরদ্বাজও দিল্লি মন্ত্রিসভার এক পরিচিত মুখ। তিনি স্বাস্থ্য ও নগর উন্নয়নসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় সামলে আসছেন তিনি। এ ছাড়া দলের একজন সুপরিচিত মুখও সৌরভ। তিনি দলের নেতাদের ঢাল হিসেবে কাজ করছেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপি ও ভারতীয় ক্ষমতাসীন সরকারের ওপর তোপ দাগিয়ে আসছেন।
তবে গত ডিসেম্বরে ‘আমিও কেজরিওয়াল’ নামে একটি প্রতীকী জরিপ পরিচালনা করে আম আদমি পার্টি। সেখানে মানুষে কাছে জানতে চাওয়া হয় যে গ্রেপ্তার হলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে কেজরিওয়ালের পদত্যাগ করা উচিত হবে নাকি জেলে বসে সরকার পরিচালনা করা উচিত হবে।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ভরদ্বাজ বলেছেন, এই জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ বলেছেন কেজরিওয়ালের প্রতি দিল্লির জনরায় রয়েছে। তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। তাই যেখান থেকেই হোক না কেন শুধু তিনিই দিল্লিতে সরকার চালাবেন।
মন্তব্য করুন