সোমালিয়া উপকূলে ছিনতাইকৃত একটি জাহাজ থেকে ভারতীয় নৌবাহিনীর হেলিকপ্টারে গুলি ছুড়েছে জলদস্যুরা। জাহাজটি উদ্ধারে হেলিকপ্টারটি এগিয়ে গেলে এটিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে তারা। শনিবার (১৬ মার্চ) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতীয় নৌবাহিনী তাদের হেলিকপ্টারে গোলাগুলি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। নৌবাহিনী জানিয়েছে, শুক্রবার একটি হেলিকপ্টার ছিনতাই হওয়া জাহাজের কাছে পৌঁছালে দস্যুরা এটিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলি ছোড়া ওই জাহাজটির নাম এক্স-এমভি রুয়েন। গত ১৪ ডিসেম্বর জাহাজটি ছিনতাই করা হয়। এটিকে আবার ছিনতাইয়ের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় নৌবাহিনী জাহাজটিকে আটকাতে অভিযান চালিয়েছিল। একটি রণতরী দিয়ে জাহাজটিকে আটকাতে সক্ষমও হয়েছিল নৌবাহিনী। এরপর তাদের একটি হেলিকপ্টার জাহাজটির কাছে গেলে জলদস্যুরা জাহাজটিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এমনকি ঘটনার আট সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী।
এক বিবৃতিতে ভারতের নৌবাহিনী জানিয়েছে, রুয়েন নামের জাহাজটিকে আটকানোর মাধ্যমে জলদস্যুদের অপর একটি জাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টা বানচাল করে দেওয়া হয়েছে। গেল বছরের ১৪ ডিসেম্বর এটিকে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটি ছিনতাই করে। এটিকে তারা সমুদ্রে ছিনতাইয়ের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল।
#IndianNavy thwarts designs of Somali pirates to hijack ships plying through the region by intercepting ex-MV Ruen. The ex-MV Ruen, which had been hijacked by Somali pirates on #14Dec 23, was reported to have sailed out as a pirate ship towards conducting acts of #piracy on high pic.twitter.com/gOtQJvNpZb
— SpokespersonNavy (@indiannavy) March 16, 2024এর আগে শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র জানান, শুক্রবার (১৫ মার্চ) আন্তর্জাতিক জলসীমায় ছিনতাইকৃত জাহাজটি থামাতে গেলে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজের দিকে গুলি ছুড়ে জলদস্যুরা। এরপর আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আত্মরক্ষা ও জলদস্যুতা প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেয় ভারতীয় নৌবাহিনী। এ সময় জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ করে জাহাজ ও জিম্মি নাগরিকদের ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতীয় নৌসেনারা।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। জাহাজটিকে উদ্ধারের জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনী।
এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ বাংলাদেশি জাহাজটিকে অনুসরণ করার কথা জানায়। তারা জানায়, বাংলাদেশি জাহাজটিকে ছিনতাইয়ের জন্য রুয়েনকে ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। এছাগা আরও জাহাজি ছিনতাইয়ের জন্য এটিকে মাদারশিপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে বলেও জানায় তারা।
মন্তব্য করুন