জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের আপ্যায়ন করা হয়েছে ভিন্নভাবে। হরেকরকম নিরামিষ পদে সাজানো হয় খাবার টেবিল। তবে সবার জন্য চমক ছিল খাবার টেবিলের থালাবাসনে। পুরোনো দিনের মতো ‘রুপার থালা ও সোনার চামচে’ খাবার খেলেন বিশ্বনেতারা।
টেবিলে সাজানো নিরামিষ এসব খাবারের মধ্যে ছিল কাঁঠালের পদ, কারি পাতা দিয়ে তৈরি কেরালার লাল ভাত। এ ছাড়া মুম্বাই পাও, বাকরখানি নামের পদও ছিল খাবারের তালিকায়।
মিষ্টিজাতীয় খাবারের মধ্যে ছিল মধুরিমা নামের বিশেষ এক পদ, যা পরিবেশন করা হয়েছে সোনার পাত্রে। এ ছাড়াও ছিল দার্জিলিং চা এবং ফিল্টার্ড কফি।
নৈশভোজের এই আয়োজনে আরও ছিল এলাচির গন্ধযুক্ত বাজরা (একজাতীয় শস্য) দিয়ে বানানো পুডিং। মাশরুমের খাবার, বিশেষ মসলা দিয়ে বানানো কাশ্মীরি কাওয়া চা।
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু গতকাল শনিবার জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম দিনের শেষে বিশ্বনেতাদের জন্য নৈশভোজের আয়োজন করেন। সেখানেই ছিল এসব খাবার।
‘আইরিস জয়পুর’ নামে একটি কোম্পানি সোনা ও রুপার এসব পাত্র তৈরি করেছে। সম্মেলন উপলক্ষে ২০০ কারিগর প্রায় ১৫ হাজার রুপার পাত্রে হস্তশিল্পের নিপুণ সূচিকর্ম দেখিয়েছেন। ক্রোকারিজ সেটগুলোতে ভারতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের পাশাপাশি জাতীয় পাখি ময়ূরের কারুকার্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ নকশাগুলো প্রায়ই অতিথিদের আকর্ষণ করে। মূল্যবান এ তৈজসপত্রগুলো বিলাসবহুল হোটেল তাজসহ আরও ১১টি হোটেলে পৌঁছে দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন