ভারতের নাম পরিবর্তন বিতর্ক নতুন করে আবারও সামনে নিয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার নয়াদিল্লির জি-২০ সম্মেলনে দেশের নাম হিসেবে ‘ভারত’ ব্যবহার করেছেন তিনি। যদিও এত দিন বিশ্ব মঞ্চে ‘ইন্ডিয়া’ নামটিই ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।
ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার ‘ইন্ডিয়া’ নাম বাদ দিতে চায়, এমন গুঞ্জন বেশ আগে থেকেই প্রচলিত। সম্প্রতি ভারতীয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর একটি নথি সামনে আসতেই এই জল্পনা আবারও শুরু হয়। রাষ্ট্রপতির ওই নথির পরপর প্রধানমন্ত্রী মোদির আরেকটি নথি সামনে এলে এই জল্পনার পালে নতুন করে হাওয়া বইতে শুরু করে।
এমনকি গত বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যম টাইমস নাওয়ের বরাতে বলা হয়, আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে দেশের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে একটি রেজুলেশন আনতে পারে মোদির সরকার। ওই রেজুলেশনে দেশটির নাম আনুষ্ঠানিকভাবে শুধু ভারত করা হতে পারে। যদিও দেশটির সংবিধানে বর্তমানে ইন্ডিয়া ও ভারত দুটি নামই উল্লেখ আছে।
ভারতের নয়াদিল্লিতে দুদিনের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে। এই সম্মেলন উপলক্ষে বিদেশি প্রতিনিধিদের জন্য ছাপানো পুস্তিকাতেও ভারত শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। ওই পুস্তিকার শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘ভারত, গণতন্ত্রের জননী’। এ ছাড়া এতে লেখা হয়েছে, ‘তাদের দেশের সরকারি নাম হলো ভারত। এটি সংবিধানে উল্লেখ আছে।’
এদিকে নাম পরিবর্তন নিয়ে বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে মোদি সরকার। বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার নেতারা বলছেন, মোদি সরকার দেশের ইতিহাস বিকৃত করে ভারতকে বিভক্ত করছে। তবে বিরোধীদের দিকে অভিযোগের পাল্টা তীর ছুড়ে বিজেপি নেতারা বলছেন, বিরোধী নেতারা দেশ ও সংবিধানবিরোধী।
মন্তব্য করুন